আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় গতকাল শনিবার হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ছয় দশকের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক এ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানায়, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৯ জন। এদের মধ্যে এক হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, মরক্কোর মারাকেশ শহর থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে অবস্থিত আমিজমিজ গ্রামের উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও নিখোঁজদের ধ্বংস্তূপের নিচে খুঁজছেন তাঁদের প্রতিবেশীরা। মোহামেদ আজাও নামের এক ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি বলেন, ঝাঁকুনি অনুভব করার পর আমি আমার সন্তানদের নিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু আমার প্রতিবেশীরা পারেননি। ওই পরিবারের কেউই হয়তো বাঁচতে পারেনি।
মারাকেশ থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের এলাকা আসনির প্রায় সব বাড়িঘরই ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে। সেখানকার মানুষজনকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোনতাসির ইত্রি বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরা চাপা পড়ে আছে। লোকজন তাঁদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আনসি এলাকার তান্সগার্ট গ্রামটি মারাকেশ থেকে এটলাস পর্বতে যাওয়ার পথে অবস্থিত। এ গ্রামের বাসিন্দা আবদেলাতিফ আইত বেলা ভূমিকম্পে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী সাইদা বদচিক বলেন, আমাদের শনিবার থেকে কোনো বাড়ি নেই। আর খাবারও নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও ওপর ভরসা করছি না। রয়টার্স বলছে, মরক্কোর ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি স্পেনের হুয়েলভা ও জায়েন পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এ ভূমিকম্পে প্রায় তিন লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post