চট্টগ্রামের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রেজাউল করিম ২০১৫ সালে মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকে ৮ বছর ধরে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাব তার নামে রিপোর্ট দিচ্ছে। সবশেষ ২৬ আগস্ট রোকেয়া বেগম নামে এক রোগীকে ইকোকার্ডিওগ্রাফির রিপোর্ট দেওয়া হয় যেখানে ডা. রেজাউলের নাম উল্লেখ ছিল।
এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগটি পেয়ে বেসরকারি ওই ল্যাবের ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সই করার ওই চিঠিতে বলা হয়, ডা. রেজাউল করিমের নাম ব্যবহার করে সই ছাড়া রিপোর্ট প্রদান করে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৫, ৫২ ও ৫৩ ধারা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ ভঙ্গ করেছে। এর আগে একই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডেঙ্গু পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি গ্রহণের অভিযোগে ল্যাব সাময়িক বন্ধসহ কঠোর সতর্ক করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবের জেনারেল ম্যানেজার পুলক পারিয়াল বলেন, ভুলবশত ওই চিকিৎসকের নামটা সরানো হয়নি। তবে রিপোর্ট তিনি দেননি, অন্য চিকিৎসক দিয়েছিলেন। জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এর আগে গত ১৭ জুলাই ডেঙ্গু পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করায় অভিযোগে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। একদিন পর আবার ল্যাবটি খোলা দেওয়া হয়। ওই সময় ল্যাবটির বিরুদ্ধে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকার পরিবর্তে ডেঙ্গু এনএস ওয়ান পরীক্ষার ফি ১ হাজার ৬০০ টাকা ও আইজিজি বা আইজিএম পরীক্ষার ফি ১ হাজার ২০০ টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post