রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আর এই বৈঠকটিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন এরদোয়ানের প্রধান বৈদেশিক নীতি ও নিরাপত্তা পরামর্শক আকিফ কাগাতে কিলিক। কারণ এই বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি নিয়ে কথা বলবেন তারা। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর সোচিতে দুই নেতার এ বৈঠকটি হবে।
এরদোয়ানের নিরাপত্তা পরামর্শক আকিফ কাগাতে টেলিভিশন চ্যানেল হাবেরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা শস্যচুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছি। শস্য করিডর নিয়ে বিশ্বের সব জায়গা থেকে আমরা শক্তিশালী উপলব্ধি দেখতে পাচ্ছি। চুক্তির বর্তমান অবস্থা নিয়ে সোমবার আলোচনা হবে। আমরা সতর্ক। কিন্ত আমরা আশা করি সাফল্য পাব। কারণ এ বিষয়টি পুরো বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলে।
গত বছরের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শস্য চুক্তি হয়। এরমাধ্যমে ইউক্রেনের বন্দরে আটকে যাওয়া শস্য আবারও বিশ্ব বাজারে যাওয়া শুরু করে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে যখন রাশিয়া হামলা চালায় তখন দেশটির শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ওই চুক্তির পর কৃষ্ণসাগর দিয়ে আবার শস্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করে।
কিন্তু এ বছরের জুলাইয়ে রাশিয়া চুক্তিটি বাতিল করে। তারা দাবি করে, গত বছর চুক্তির সময় পশ্চিমারা কথা দিয়েছিল— রাশিয়ার শস্য ও কৃষিপণ্যও নির্বিঘ্নে বিশ্ববাজারে যেতে পারবে। কিন্তু সেই শর্ত পূরণ করেনি তারা। এ কারণে মস্কো বাধ্য হয়ে চুক্তি থেকে সরে গেছে।
রাশিয়া পরিস্কারভাবে জানিয়েছে, যদি তাদের শর্ত পূরণ হয় তবেই এই চুক্তিতে আবার ফিরবে তারা। এদিকে কৃষ্ণসাগর চুক্তি বাতিলের পর দানুবে বন্দর দিয়ে নিজেদের শস্য রপ্তানি করছিল ইউক্রেন। কিন্তু রোববার (৩ সেপ্টম্বর) ওই বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী করে দেয় রাশিয়া।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post