শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উদ্বোধনী ফ্লাইট যাত্রা করবে বাংলাদেশ বিমানের জাপান ফ্লাইট। ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে জাপানের নারিতার উদ্দেশে রওয়ানা হবে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। নারিতা থেকে প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ফেরত আসবে। বাংলাদেশ বিমান সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম যুগান্তরকে বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ। আজ থেকে আমরা জাপানে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছি। ঢাকা থেকে সরাসরি এই ফ্লাইট জাপান যাবে। একইভাবে ফেরত আসবে। তিনি বলেন, এতদিন অন্য কোনো দেশ ঘুরে জাপান যেতে হতো। এখন থেকে আমাদের প্রতিবেশী দেশের যাত্রীরাও স্বল্প সময়ে ঢাকা হয়ে জাপান যেতে পারবেন। আমরা আশা করছি, এই রুটটি লাভজনক হবে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ছয় ঘণ্টায় ঢাকা থেকে জাপান যাওয়া যাবে এই রুটে। শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রুটের উদ্বোধন করা হবে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জাপান রুটের উদ্বোধন করবেন।
শুক্রবার যে ফ্লাইটটি যাবে সেটি নারিতায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে। নারিতা থেকে প্রথম ফ্লাইট বিজি ৩৭৭ ওইদিন সকাল ১১টায় উড্ডয়ন করে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছাবে ঢাকার স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ৩টায়। অত্যাধুনিক মডেলের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে নারিতা ফ্লাইট পরিচালিত হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জাপানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা খুবই কম। তবে বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানি নাগরিকরাই এই রুটের মূল যাত্রী। তবে নারিতা থেকে ঢাকা হয়ে ভারতের কলকাতা, দিল্লি ও নেপালে যাত্রী নিতে পারলে লাভজনক হবে বিমানের এই রুট। এই লক্ষ্যে ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তনসহ ক্যাম্পেইন চালাতে হবে বিমানকে।
ঢাকা-জাপান রুটে ২৫ জুলাই থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করে বিমান। এ রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ৭০ হাজার ৮২৮ টাকা এবং রিটার্ন টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৬ টাকা। তবে নতুন রুট উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ছাড় দিয়েছে বিমান। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।
এ সময়ে ঢাকা-নারিতা রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল জনপ্রতি সর্বমোট ৪৯ হাজার ১০০ টাকা। রিটার্ন টিকিটের ভাড়া ছিল ৮৪ হাজার ৪৯৬ টাকা। বিমান জানিয়েছে, উদ্বোধনী ফ্লাইটের বেশিরভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যদিও উদ্বোধনী রুটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মকর্তা, বিমানের স্টাফ ও বিভিন্ন মিডিয়ার কমপক্ষে ৭৯ জন যাত্রী রয়েছেন।
১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-টোকিও ফ্লাইট চালু হয়েছিল। ১৯৮১ সালে সাময়িক বিরতির পর তা আবার চালু হয়। তবে তখন টোকিওর পরিবর্তে ঢাকা-নারিতা গন্তব্যে সেই ফ্লাইট চলত। ক্রমাগত লোকসানের কারণে ২০০৬ সালে এই গন্তব্যে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বিমান। ১৭ বছর পর আবার সেই গন্তব্যে ফ্লাইট শুরু করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post