আজ বুধবার আকাশে দেখা যাবে বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল জ্যোৎস্না জ্যোৎস্না ‘ব্লু সুপারমুন’। দশ বছর পর পর দেখা যায় এই বিরল দৃশ্য।
এদিন চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব দাঁড়াবে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪ কিলোমিটার। উল্লেখ্য, এর আগে জুন মাসেও একটি সুপার মুন দেখা গিয়েছিল। যাকে ডাকা হয় স্ট্রবেরি মুন নামে। এরপর সেপ্টেম্বরে এ বছরের শেষে সুপার মুন দেখা যাবে। এবার ব্লু-মুন রূপে ধরা দিচ্ছে সুপারমুন।
তবে কেন চাঁদের এই নাম? আসলে যেদিন পূর্ণিমার চাঁদকে সাধারণ আকারের থেকে বড় দেখায় সেদিনের চাঁদকে সুপার মুন নামে ডাকা হয়। কিন্তু কেন ‘ব্লু’? না, এদিন চাঁদকে মোটেই নীল রঙের দেখাবে না। ১৯৪৬ সালে ‘স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ’ পত্রিকায় প্রথমবার এই নাম ব্যবহৃত হয়েছিল। কোনো মাসে দু’বার পূর্ণিমা দেখা গেলে দ্বিতীয় পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘ব্লু মুন’।
কেন দেখা যায় এমন বড় চাঁদ? আসলে সংশ্লিষ্ট দিনে চাঁদ অন্যান্য দিনের থেকেও বড় আকারে দেখা যায়। দূরত্ব কমতে কমতে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে চাঁদ, বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় পেরিজি। পূর্ণিমার দিনে গোল থালার মতো চাঁদ দেখা যায় আকাশে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এই দিনে চাঁদের উজ্জ্বল থাকে অনেক বেশি। তবে সুপার মুনের ক্ষেত্রে চাঁদ আরও বেশি উজ্জ্বল থাকে।
পরবর্তী সুপারমুন ২৯ সেপ্টেম্বর। তার নাম হবে হার্ভেস্ট মুন। বছরের সেরা পূর্ণিমাগুলোর মধ্যে সেটিও একটি। সেটি ২০২৩ সালের শেষ সুপারমুন। তবে ৩০ আগস্ট রাখি পূর্ণিমার দিনের চাঁদ বিরল, তা ব্লু সুপারমুন রূপে দেখা যাবে। তার সাক্ষী থাকার অপেক্ষা শুধু চন্দ্রোদয়ের সঠিক সময় খুঁজে বের করে নেয়া।
উল্লেখ্য, এর আগে জুন মাসেও একটি সুপার মুন দেখা গিয়েছিল। যাকে ডাকা হয় স্ট্রবেরি মুন নামে। এরপর সেপ্টেম্বরের এ বছরের শেষ সুপার মুন দেখা যাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post