মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান, সৌদি এবং আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় কাজের সন্ধানে ঘুরছেন বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক প্রবাসী। যাদের মাধ্যমে এসব দেশে এসেছেন, তাদেরও আর খোঁজ পাচ্ছেন না তারা। সৌদিতে এমন লোকের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ভাগ্য বদলে আশায় পাড়ি জমান এই আরব দেশটিতে। তাদের অনেকেই প্রলোভনে পড়ে চার-পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে প্রবাসে আসেন। ভিসা দেওয়ার সময় বিভিন্ন ভিআইপিমানের কোম্পানিতে, রেস্টুরেন্টে, সুপার শপে, আবাসিক হোটেলে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আসার পর সে কথা আর ঠিক থাকে না। তখনই বিপাকে পড়েন প্রবাসীরা।
ভুক্তভোগী পাবনার হামিমুল পাশা জয় প্রায় ২ লাখ টাকা বেতনের লোভে দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে এসেছেন। কিন্তু এসে দেখেন, তার চাকরি নেই। এমনকি থাকার জায়গাটাও পাচ্ছেন না তিনি। হামিমুল পাশা বলেন, ‘আপন খালাতো ভাই মো. জুয়েল মিয়া আমাকে আরামকো কোম্পানিতে ফোরমেনের চাকরি দেওয়ার নাম করে সৌদি আরব নিয়ে এসেছেন। বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে আমাকে আনে। এ দেশে এসে দেখি চাকরি নেই, আকামা তিন মাসের দিলেও থাকার জায়গা নেই, খাওয়ার জায়গা নেই।’
তিনি আর বলেন, ‘আমি এখন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। দেশে যেতে চাই, কীভাবে যাব তা-ও জানি না। দেশ থেকে পরিবার টাকা চাচ্ছে। বউ, বাচ্চা আছে কী করব বুঝতে পারছি না। অল্প কয়েক দিন আছে আকামার মেয়াদ, তারপর অবৈধ হয়ে যাব। নিজের মরদেহ দেশে যাবে কি না জানি না। আমার মতো কেউ এমন ভুল করবেন না, আত্মীয়-স্বজন বা দালালদের মিষ্টি কথায় পা দেবেন না।’
এদিকে, অবৈধ প্রবাসীদের দেশে ফেরত যেতে দেওয়ার জন্য সৌদি আরব প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। গত ৩ আগস্ট সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post