সৌদি আরবের সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেন সীমান্তে অভিবাসীদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডাব্লিউ) প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই অভিযোগ আমলে নিলেও হত্যাকাণ্ডগুলো বড় পরিসরে হয়নি বলে দাবি করেছে সৌদি আরব।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন হয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো কয়েক শ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই ইথিওপিয়ার বাসিন্দা। বেঁচে যাওয়া অভিবাসীরা গণমাধ্যমকে বলেন, গুলির আঘাতে তাঁদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁরা রাস্তায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
এইচআরডাব্লিউর ‘দে ফায়ার্ড অন আস লাইক রেইন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে অভিবাসীদের সাক্ষ্য ও স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইয়েমেনের উত্তরে সৌদি সীমান্তে সৌদি পুলিশ ও সেনারা অভিবাসীদের ওপর কখনো গুলি, আবার কখনো বিস্ফোরক ছুড়েছে।
এদিকে সৌদি সরকার বলছে, অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডগুলো পরিকল্পিত বা বড় পরিসরে ছিল না বলে দাবি দেশটির। রিয়াদ বলছে, সীমিত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো নিশ্চিত করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য বা প্রমাণ খুঁজে পায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সীমান্তে এখনো হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকার তথ্য উন্মোচন করেছে তারা। এক ভিডিও ফুটেজে সীমান্তে আহত অভিবাসীদের গত শুক্রবার ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সাদা শহরের হাসপাতালে পৌঁছাতে দেখা গেছে। পাশের একটি কবরস্থানে দাফনের কাজ চলছিল। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post