যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্য টানা সপ্তমবারের মতো আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর কেটি হুকুল এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন। ওই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহার প্রস্তাবে, নিউইয়র্ক রাজ্যের সিনেটর স্ট্যাভিস্কির উদ্যোগে সম্প্রতি প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
রাজ্য সচিব আলেজান্দ্রা পাউলিনো এ সংক্রান্ত ঘোষণার একটি অনুলিপি প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য যে, গভর্নর অ্যান্ড্রু এম কুওমো ২০১৬ সালে প্রথম বারের মত ‘বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস’ পালনের জন্য বিল পাস করেছিলেন। নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের রেজোলিউশন নম্বর ৫৬৩ অনুযায়ী, সচেতনতা বাড়াতে এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রোফাইল বাড়ানোর জন্য আলাদা করে রাখা অফিসিয়াল দিনগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া এই আইনসভার অনুভূতি যা নিউ ইয়র্ক রাজ্যের সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
২০২৪ সাল বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সফল অংশীদারিত্বের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় উদযাপন করছে। বাংলাদেশি অভিবাসীরা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবকে পেছনে ফেলে ১৯ শতকের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসতে শুরু করে। নিউইয়র্ক সিটি আমেরিকার বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রাণবন্ত বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। সম্প্রদায়টি কুইন্সের বরোতে জ্যাকসন হাইটস পাড়ায় ছড়িয়ে আছে।
বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে এই অর্জন আরেকটি পালক যোগ করেছে। মুক্তধারা দিবসটি উপলক্ষে ২৫ সেপ্টেম্বর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি। দিবসটি পালনের সঙ্গে মিল রেখে বিশ্বজিৎ সাহা জানান, মুক্তধারা নিউইয়র্ক এবং ইউএসএ-বাংলাদেশ বিজনেস লিংক, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা-২০২৩’ আয়োজন করতে যাচ্ছে আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের নিউইয়র্কের হিলটন মিডটাউন হোটেলে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post