চিরতরে বন্ধ হতে যাচ্ছে বেসরকারি এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম। বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার পাওনা, নানা প্রতিকূলতা ও বাধা বিপত্তির কারণে এয়ারলাইন্সটির পর্ষদের কার্যক্রম প্রায় স্থবির। ইতোমধ্যে নিজ নিজ পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনকে আবেদন জানিয়েছে এয়ারওয়েজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।
তারা জানান, ইউনাইটেডের কার্যক্রম শুরুর জন্য এয়ার অপারেটিং সার্টিফিকেটটি (এওসি) নবায়ন করতে হবে। এটা বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (বেবিচক) নবায়ন করে। কিন্তু ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা রয়েছে ৩৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল দেনা ৫৫ কোটির মতো, বাকি টাকা সারচার্জ।
এ টাকা পরিশোধ না করলে এওসি ইস্যু করবে না বেবিচক। এ অবস্থায় ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে সারচার্জ মওকুফের অনুরোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই চার্জ মওকুফে সম্মতি দেওয়া হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় তা নাকচ করে দেয়।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমরা অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, তবে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা দেনা দেখে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
২০০৭ সালে দেশে ফ্লাইট অপারেশন শুরু করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। কোনো আগাম ঘোষণা ছাড়াই ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ করে দেয় তারা। বন্ধ হওয়ার সময় ইউনাইটেড বলেছিল, বহরে থাকা ১০টি উড়োজাহাজের সবকটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। তাদের ওই সময় এত টাকা ছিল না।
দুই সপ্তাহ পর ফিরে আসার আশা ব্যক্ত করলেও পাঁচ বছরেও ফিরতে পারেনি সংস্থাটি। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরের জায়গা দখল করে আছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি উড়োজাহাজ। সবমিলিয়ে তাদের কাছে বেবিচকের পাওনা ৩৫৫ কোটি টাকা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post