পৃথিবীতে এমন একটি শহর রয়েছে সেখানে সব বাড়িতে বাড়িতে গাড়ি নয় আছে প্লেন। সবার ঘরের সামনে বা গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে ব্যক্তিগত উড়ান। ক্যামেরন এয়ারপার্ক হল এমনই এক শহর। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এই শহরে প্রত্যেকেরই প্লেন বা উড়ান রয়েছে। ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক কাজের জন্য তারা প্লেন ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, তাদের বাড়িতে কোন অতিথিকে আপ্যায়ন করতে হলে, সেই অতিথিকে প্লেনে চেপে আসতে হবে।
ক্যামেরন এয়ারপার্ক একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এলাকা। সেখানে বসবাস করতে হলে প্লেন থাকতেই হবে। আবার অনুমতি ছাড়া বহিরাগতদের এই এলাকায় প্রবেশ নিষেধ। শহরটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠে। যুদ্ধ শেষ হবার পর পাশাপাশি থাকা কয়েকটি এয়ারফিল্ডকে আবাসিক এলাকায় রূপ দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়। বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত পাইলটদের জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার এয়ারপার্ক শহরটি গড়ে তোলা হয়।
খুব দ্রুতই এই পরিকল্পনা জনপ্রিয় হতে শুরু করে এবং এয়ারপার্কে বসবাস করাতে পাইলটরা ক্রমেই ভিড় করতে থাকেন। এতে এলাকাটির উন্নয়নে গতি আসে। ১৯৬৩ সালের দিকে আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে আবাসিক এলাকাটি তৈরি হয়ে যায়। সেখানে বর্তমানে ১২৪টি বাড়ি আছে। সেখানের সবগুলো রাস্তা ১০০ ফুট চওড়া, যাতে করে উড়ানগুলো খুব সহজেই ওঠানামা করতে পারে। অবতরণের পর একদম বাড়ির সামনে থামতে পারে।
পাইলটের পাশাপাশি চিকিৎসক, আইনজীবীর মতো অন্য পেশার মানুষ ক্যামেরন এয়ার পার্কে থাকলেও, তাঁরাও চায় বাড়িতে একটি প্লেন থাকুক। জানা গেছে, এয়ার পার্ক এলাকার প্রতিটি মানুষ দারুণ বন্ধুবৎসল। সপ্তাহের শনিবার দিনটিতে সবাই মিলে এক জায়গায় মিলিত হয়। হইহুল্লোড় করেন। এরপর যার যার উড়ান নিয়ে পরিভ্রমণে বেরিয়ে পড়ের তারা। মজার বিষয় হলো, শুধু ক্যালিফোর্নিয়ার এয়ারপার্কই নয়, গোটা আমেরিকার জুড়েই রয়েছে এমন আবাসিক এলাকা। সব মিলিয়ে দেশটিতে ৪২৬টি এয়ারপার্ক আছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post