সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সেদিন সকালে ওই প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করলে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তরগাঁও গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী এক ব্যক্তি তার সাথে কর্মরত সিরাজগঞ্জ জেলার মাহবুবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। মাহবুব পাওনা টাকা পরিশোধ না করেই বেশ কয়েক মাস আগে সৌদি আরব থেকে স্থায়ীভাবে সিরাজগঞ্জের বাড়িতে চলে আসেন।
পরে তার কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোনো উপায় না পেয়ে দুই সন্তানের জননী ওই প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) প্রতিবেশী ভাগিনা মো. নাঈমকে (৩৫) নিয়ে বেশ কয়েকবার সিরাজগঞ্জে গিয়ে পাওনা টাকার জন্য তাগাদা দিয়ে আসেন। সম্প্রতি নাঈম ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে মাহবুব যে কোনো দিন খুব ভোরে টাকা নিয়ে কাপাসিয়া আসবেন। তখন খবর দিলে তিনি যেন নাঈমের বাড়িতে চলে আসেন। কথামতো গত ৩ আগস্ট ভোর ৪টার সময় একই এলাকার দুলাল মিয়া (৪৫) ওই প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে জানান, মাহবুব কিছুক্ষণ আগে নাঈমের বাড়িতে এসেছেন, তিনি যেন দ্রুত সেখানে যান।
এ সময় দুলাল মিয়ার সাথে তিনি নাঈমের নির্জন বাড়িতে গেলে একপর্যায়ে দুলাল মিয়ার সহযোগিতায় নাঈম তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে নাঈম এবং দুলাল মিয়া তার শরীর থেকে স্বর্ণের একটি চেইন, একজোড়া কানের দুল ও একটি আংটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে তার ও সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা।
এর কয়েক দিন পর নাঈম তাকে ফোন করে জানায়, সে কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রেখেছে, তাকে যদি ওই প্রবাসীর স্ত্রী আবারো ধর্ষণের সুযোগ না দেয় এবং দুই লাখ টাকা না দেয় তবে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে। কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, ধর্ষণের অভিযোগে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রবাসীর স্ত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post