করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রায় একমাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ওমান। দেশটির অর্থনীতিকে গতিশীল করতে প্রায় ৪০ ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির আঞ্চলিক ও ওয়াটার রিসোর্স মন্ত্রণালয় তাদের এক প্রতিবেদনে প্রায় ৪০ ধরনের প্রতিষ্ঠান চালু করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
আঞ্চলিক ও ওয়াটার রিসোর্স মন্ত্রণালয় অনলাইনে জারি করা একটি বিবৃতিতে জানান, “মন্ত্রীপরিষদের তত্ত্বাবধানে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে ও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে দেশটিতে যে সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে:
১. খাদ্য সামগ্রী বিক্রয়ের দোকান
২. ফুড ষ্টোর (খাদ্য গুদাম)
৩. রেস্তোরা, ক্যাফে এবং মোবাইল ক্যাফে (কেবল অর্ডার এবং বিতরণ)
৪. মেডিকেল ও ভেটেরিনারি ক্লিনিক
৫. ফার্মেসি
৬. চশমা বিক্রয়ের দোকান
৭. গ্যাস স্টেশন
৮. গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়কেন্দ্র
৯. বেকারি
১০. পানির দোকান
১১. ক্যান্ডি ও হালুয়ার দোকান
১২. খাদ্য সামগ্রীর দোকান
১৩.কৃষি উপকরণ এবং কীটনাশক বিক্রির দোকান
১৪. মাছ-মাংস ও হাঁস-মুরগি বিক্রির দোকান
১৫.আইসক্রিম, মিষ্টি ও বাদামের দোকান
১৬. শাকসবজি ও ফলের দোকান
১৭. জুস বিক্রয়ের দোকান (কেবল অর্ডার এবং বিতরণ)
১৮. মিশকাক (কেবল অর্ডার এবং বিতরণ)
১৯. দুধের দোকান
২০. মধুর দোকান
২১. খেজুরের দোকান
২২. পোলট্রি ফার্ম
২৩. বীমা অফিস
২৪. স্যানিটারি ও ইলেকট্রনিক্স দোকান
২৫. খাদ্য ব্যতীত অন্যান্য স্টোর (গ্রাহক নিজে উপস্থিত থাকতে পারবে না)
২৬. মাছ ধরা ও সরবরাহের দোকান (গ্রাহকের অনুরোধে বিক্রয় করতে পারবে)
২৭. ওয়াটার পাম্প
২৮. লন্ড্রির দোকান (সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে)
২৯. যানবাহন মেরামত ওয়ার্কশপ, ফিশিং নৌকা মেরামত ওয়ার্কশপ (ওয়ার্কশপে গ্রাহকের প্রবেশের অনুমতি নেই)
৩০. গাড়ির যন্ত্রাংশ (গ্রাহকদের প্রবেশের অনুমতি নেই)
৩১. যানবাহনের পেট্রোল পাম্প, টায়ার বিক্রি ও মেরামত (একই সাথে সর্বোচ্চ দুইজন গ্রাহকের অনুমতি রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে)
৩২. টেলিভিশন সম্প্রচার ডিভাইস বিক্রয় এবং মেরামত (সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা প্রদান করতে হবে)
৩৩. কম্পিউটার বিক্রয়, মেরামত (সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা প্রদান করতে হবে)
৩৪. ষ্টেশনারী ও বইয়ের দোকান
৩৫. প্রিন্টিং প্রেস
৩৬. খনিজ পদার্থের দোকান
৩৭. সানাদ অফিস (গ্রাহকরা অফিসে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না)
৩৮. যানবাহন ভাড়া ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দোকান (সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা প্রদান করতে হবে)
৩৯. মানি এক্সচেঞ্জ (সর্বোচ্চ দুটি গ্রাহককে অনুমতি দেওয়া হয়েছে)
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই সকল দোকানে যেতে পারবেন গ্রাহকরা। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে সরকার যেকোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
https://www.youtube.com/watch?v=kundm1jK7YM&t=254s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post