পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে পাঁচ বছর আগে বড় ছেলে রমজান আলীকে কুয়েতে পাঠান ফারুক মিয়া। চার বছর পর অবস্থা একটু ভালো হলে নতুন বাড়ি করার পরিকল্পনা করে রমজান। বাবার কাছে টাকা পাঠিয়ে সেমিপাকা ঘর করতে বলে। এর কিছুদিন পর দেশে এসে বিয়ে করেন।
কিন্তু বিয়ের পর বিদেশে ফিরলে রমজানের মধ্যে পরিবর্তন আসতে থাকে। একপর্যায়ে মা-বাবাকে ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ঘর থেকে নেমে যেতে বলেন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের মধ্যেই স্ত্রীসহ অন্য সন্তানদের নিয়ে ওই বাড়িতেই ছিলেন ৭০ বছর বয়সী ফারুক মিয়া। গত শনিবার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তাঁকেসহ পরিবারের ৯ সদস্যকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের। ঘটনার পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা। ফারুক মিয়া বলেন, বাড়ির জায়গা লিখে না দেয়ায় ছেলের বউ দুই দিন পরপর থানা থেকে পুলিশ এনে হুমকি-ধমকি দেওয়ান। শনিবার পুলিশ ডেকে তাদের ঘর থেকে বের হতে চাপ দেয়া হয়। পরে বের হতে না চাইলে পুলিশ লাঠি দিয়ে পেটাতে আরম্ভ করে। এসময় বাবা ফারুককে বাঁচাতে এলে দুই ছেলের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানো হয়। ছেলে হয়েও বাবাকে পুলিশ দিয়ে পেটানোর বিষয় ভেবেও পাননা ফারুক। তিনি বলেন, এটা ভেবে আমার এখন ঘুম হয়না, কি করে পারলো!
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post