জাল ভিসার প্রতারণায় একেরপর এক নিঃস্ব হচ্ছেন মানুষ। বিদেশ থেকে উপার্জনের অর্থ দিয়ে ভাগ্য খোলার আশায় কেউ কেউ নিজের সর্বসম্বল বেচে বিদেশ যেতে চান। তাঁদের এই স্বপ্ন আর অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে দেশে বড় জালিয়াত চক্র তৈরি হয়েছে।
বড়লেখার মাখন লাল দাসের ছেলে মিশন লাল দাস তাদেরই একজন। রোমানিয়া পাঠানোর জন্য বিভিন্ন মেয়াদেতার কাছ থেকে ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেন দুই ভাই সুবিনয় দাস শুভ্র ও শুভাশীষ দাস। কিন্তু তারা মিশন লাল দাসকে রোমানিয়ার জাল ভিসা দিয়ে ঢাকা থেকে রোমানিয়া নিয়ে যায়। পরে রোমানিয়ার বিমানবন্দরে ভিসা জাল ধরা পড়ায় লাল দাসকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
দেশে ফিরে গত মার্চ মাস থেকে প্রতারক ও তার পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও টাকা ফেরত পাননি ভুক্তভোগী। প্রতিকার চেয়ে এরপর আদালতে দুই সহদোরের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেন মাখন লাল দাস। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযুক্ত দুই ভাই বড়লেখা উপজেলার বড়ময়দান গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। এতোকিছুর পরেও ভুক্তভোগীরা তাঁদের অর্থ ফেরত পাবেন কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এভাবে প্রতারণা আর আইনি জটিলতার ফাঁদে পড়ে মিশন লালের মত হাজারো মানুষ দিশেহারা। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময় আর অর্থ সাশ্রয়ের চিন্তায় প্রতারকের খপ্পরে না পড়ে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে এমন সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post