অন্যান্য যানবাহনের মতোই উড়োজাহাজ বা বিমান জ্বালানি তেলে চলে। তবে সড়কযানে ব্যবহৃত জ্বালানির তেলের চেয়ে উড়োযানের জ্বালানি তেল অনেকটাই আলাদা। বিমান বা হেলিকপ্টারের মত যেকোনো জেটের জন্য বিশেষ জেট ফুয়েল রয়েছে। এই জেট ফুয়েলকে এভিয়েশন কেরোসিন বলা হয় এবং এটি কিএইভি নামেও পরিচিত।
জেট ফুয়েল মুলত দাহ্য এবং এটি পেট্রোলিয়াম থেকে প্রাপ্ত একটি পাতন তরল। এভিয়েশন কেরোসিনের উপর ভিত্তি করে একটি জ্বালানি তৈরি করা হয় এবং এটি বাণিজ্যিক বিমান পরিবহনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে কেউ এই ধরনের তেলের দাম শুনলে চমকে যেতে পারেন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ওয়েবসাইটের সূত্র মতে, বিমানের জেট ফুয়েলের দুই ধরনের দাম নির্ধারিত আছে। স্থানীয় ফ্লাইটের জন্য প্রতি লিটার ফুয়েলে দাম ১০১ টাকা। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য দর ভিন্ন। যা কিছুটা কম।
অনেকের প্রশ্ন থাকে, ১ লিটার এভিয়েশন ফুয়েলে বিমান কতটা মাইলেজ দেয়? আসলে ফ্লাইট এর মাইলেজ গাড়ি কিংবা বাইকের মত গণনা করা হয় না। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্লাইট এর স্থল গতি প্রতি ঘন্টায় ৯০০ কিলোমিটার অর্থাৎ ২৫০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। এই এক ঘন্টায় ২৪০০ লিটার জ্বালানি খরচ হয় এবং ৯০০ কিলোমিটার ফ্লাইট উড়ে যায়। এই ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ২.৬ লিটার জ্বালানি এবং প্রতি ৩৮৪ মিটারে এক লিটার জ্বালানি খরচ হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post