রঙিন জীবনের আশায় প্রবাসে পাড়ি জমাতে কতজন কত কিছুই না করেন। তাই বলে জাহাজের রাডারে চড়ে মহাসাগর পাড়ি দেয়া! সম্প্রতি চার নাইজেরিয়ান উন্নত জীবনের আশায় এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। জাহাজের রাডারে চড়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে এসেছেন ব্রাজিলে। পরে ওই ৪ অভিবাসন প্রত্যাশীকে ব্রজিলের পুলিশ উদ্ধার করেছে। তারা মালবাহী জাহাজের রাডারের ওপর বসে ১৪ দিনে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ব্রাজিলে পৌঁছেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স পহেলা আগস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি মালবাহী জাহাজের রাডারের ওপরের ছোট্ট একটি জায়গায় বসে ওই চার নাইজেরিয়ান আটলান্টিকের বুকে যাত্রা শুরু করেন। সমুদ্রের বুকে তাদের দশম দিনে খাবার ও পানীয় শেষ হয়ে যায়। তাদের ভাষ্য, ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব বন্দরে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ তাদের উদ্ধার কারার আগে, তারা আরও চারদিন বেঁচে ছিলেন। এ সময় তাদের সমুদ্রের লবণাক্ত পানি পান করতে হয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগরের ৫ হাজার ৬শ কিলোমিটারের যাত্রা পথে তারা প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুর ভয়াবহ হাতছানির মুখোমুখি হয়েছেন। উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসনের প্রত্যাশায় থাকা মানুষরা ঠিক কি ধরনের ঝুঁকি নিতে পারে, এই দুর্ধর্ষ সমুদ্র যাত্রা তার এক মর্মান্তিক উদাহরণ।
এই চার অভিবাসন প্রত্যাশীর একজন হলেন থ্যাঙ্কগড ম্যাথিউ। সাও পাওলোর গির্জার আশ্রয়ে থাকা এই নাইজেরিয়ান তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন , ‘এটি আমার জন্য একটি ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ছিল। বোর্ডে এতটা সময় থাকা সহজ নয়, আমি কাঁপছিলাম, খুব ভয় পেয়েছি। কিন্তু আমি ভাগ্যবান, আজ এখানে আছি।’ ওই ৪ জনের দুই পুরুষ নাইজেরিয়ানকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে ম্যাথিউ এবং রোমান এবিমেন ব্রাজিলে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post