ধূমপান না করলেও দেশে প্রায় তিন কোটি মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের দাবী, দেশের ৩৭ শতাংশ মানুষ ধূমপান করেন। এছাড়া তাদের আশেপাশে অবস্থান করা প্রায় তিন কোটি মানুষ পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। এ মানুষগুলো জানেনও না যে তারা ধূমপান না করেও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপানের পাশাপাশি জর্দা, গুল, সাদাপাতার মতো তামাকদ্রব্যের ব্যবহার কমাতেও উদ্যোগ নিতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ই-সিগারেটের ব্যবহার বাড়ছে। যা আরও ক্ষতিকর। এটি প্রতিরোধে সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা দ্রুত পাস হওয়া দরকার। জানা গেছে, তামাক ব্যবহারজনিত কারণে দেশে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। এ মৃত্যুরোধ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া অতি দ্রুত পাস করার দাবি জানিয়েছে আহছানিয়া মিশন।
এ নিয়ে দায়িত্বশীল সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়াতে বেশ কিছু প্রস্তাব আনা হয়েছে। যার মধ্যে ধূমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তা ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। এর মাধ্যমে আইনটি আরও কঠোর হবে। ফলে তামাকজনিত মৃত্যু কমবে এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের তরুণসমাজ ই-সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। ভারতসহ বিশ্বের ৪২টি দেশ ইতোমধ্যে এটা নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া ই-সিগারেট ও বিড়ি-সিগারেটের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post