রেমি লুসিডিকে ডাকা হতো ডেয়ারডেভিল নামে। করতেনও এমন সব সাহসী কাজ, যা দুর্বল চিত্তের মানুষের সহ্য করার ক্ষমতা নেই। কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই এক বহুতল ভবন থেকে আরেক ভবনের ছাদে লাফিয়ে বেড়াতেন ফরাসি স্টান্টম্যান লুসিডি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই সাহসী শখই কাল হয়ে এলো তার জন্য। ৬৮ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এই ‘ডেয়ারডেভিল’ এর।
হংকংয়ের ‘ট্রেগুন্টার টাওয়ার’ কমপ্লেক্সে উঠছিলেন রেমি। কিন্তু ভারসাম্য রাখতে না পেরে ৬৮ তলা থেকে নীচে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় তার। পড়ে যাওয়ার আগে ঝুলন্ত অবস্থায় এক জানালায় ধাক্কা মারছিলেন, সে আওয়াজ শুনে চমকে উঠেছিলেন ঘরের ভিতরে থাকা নারী।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রেমিকে ওই ভবনে দেখা গিয়েছিল। তিনি নিরাপত্তারক্ষীকে ৪০ তলায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে ভবনে প্রবেশ করেন। তবে নিরাপত্তারক্ষী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রেমিকে সেই ব্যক্তি চেনেন না। এরপর নিরাপত্তারক্ষী তাকে আটকাতে ছোটেন, কিন্তু ততক্ষণে রেমি লিফটে উঠে যান। পৌঁছে যান ৪৯ তলায়। পরে সিঁড়ি দিয়ে বিল্ডিংয়ের একেবারে উপরে উঠে পড়েন। তবে ছাদে উঠেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময়ও রেমি জীবিত ছিলেন। আর জানালায় ধাক্কা দেয়ার ওই ঘটনা সেসময়েরই। ঘরে থাকা সেই নারী ভয় পেয়ে পুলিশকে খবর দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই রেমি নিচে পড়ে যান।
ঘটনাস্থল থেকে রেমির ক্যামেরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর ধারণ করা স্টান্টের ভিডিওটিও ক্যামেরায় পাওয়া গেছে। কেবল পাওয়া যায়নি জীবন্ত রেমিকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post