কানাডায় স্থায়ী বসবাসের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি দেড় বছর ধরে এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। নিজেরা বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে পারেননি, তবে বিদেশ যাত্রার সেই জানাশোনা কাজে লাগিয়ে প্রতারণার ব্যবসায় নেমে পড়েন। সম্প্রতি ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পায় পুলিশ।
পুলিশের অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিটের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গ্রেফতারকৃতরা প্রথমে অনলাইনে মেয়েদের নাম ব্যবহার করে ফেক আইডি তৈরি করে। পরে নিজেদের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নেয়। যোগাযোগের এক পর্যায়ে চক্রের সদস্যরা কানাডাতে স্পন্সরশিপ পাওয়ার সংবাদ জানিয়ে স্পাউস ভিসায় ভিক্টিমদের কানাডা নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাতো। এভাবেই চক্রের সদস্যরা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। টার্গেট করা ব্যক্তিরা যাতে অবিশ্বাস না করেন তাই স্পন্সরশিপের জাল কাগজপত্র তৈরি করে দেখানো হতো।
জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানতে পারে, বিদেশ যাওয়ার অফারটি বিশ্বাসযোগ্য করতে কানাডিয়ান হাইকমিশনের নাম ব্যবহার করা হতো। অ্যাপসের মাধ্যমে ভিক্টিমদের ফোন করে কানাডায় ইমিগ্রেন্ট ভিসা করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়া হতো। এসবের জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে নেয়া হতো ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা।
অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিটের মিডিয়া শাখার সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহিদা পারভিন বলেন, ভুয়া আইডি খুলে চক্রটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনের কোনও যোগসূত্র নেই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post