জাপানে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে প্রবাসীর সংখ্যা ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক যুগ আগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নন-জাপানিজ ক্যাটাগরির তথ্য রাখা শুরু করে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরই দেশটিতে এক বছরের মধ্যে প্রবাসীর সংখ্যা এতো বেশি বৃদ্ধি পেলো।
প্রবাসীদের বেশিরভাগই বাস করেন রাজধানী টোকিতেও। শহরটিতে যে সংখ্যক বাসিন্দা রয়েছেন তার ৪ দশমিক ২ শতাংশই হলেন প্রবাসী।
জাপানের জনসংখ্যা রেখা ক্রমেই নিচের দিকে যাচ্ছে। শেষ এক যুগে দেশটিতে জনসংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। তবে আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে ২০২২ সাল। গত বছর দেশটির ইতিহাসে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কমার ঘটনা ঘটেছে।
তবে জনসংখ্যা কমলেও সূর্যোদয়ের এই দেশে প্রবাসীর সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক বেড়ে প্রায় ৩০ লাখে পৌঁছেছে। বুধবার (২৬ জুলাই) এক সরকারি প্রতিবেদনে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন বলছে, ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার ঘাটতি পূরণে প্রবাসীরা বড় ভূমিকা রাখছেন।
তথ্য বলছে, ২০২২ সালে জাপানি নাগরিকের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮ লাখ। এখন জাপানিদের মোট সংখ্যা ১২ কোটি ২৪ লাখ ২ হাজার। এর আগে কখনো দেশটিতে এক বছরে, জাপানিদের সংখ্যা কমার ক্ষেত্রে এত বড় লাফ দেখা যায়নি।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রেসিডেন্ট রেজিস্ট্রেশেনের ওপর ভিত্তি করে সংখ্যাটি বের করা হয়েছে।
সরকারি ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশটিতে বসবাসরত মোট নাগরিকের সংখ্যাও কমেছে। বর্তমানে জাপানে বাস করছেন ১২ কোটি ৫৪ লাখ ১ হাজার জন। আগের বছরের তুলনায় যা ৫ লাখ ১১ হাজার কম।
এছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো জাপানের ৪৭টি বিভাগের সবগুলোতে জনসংখ্যা কমেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৮ সালে জাপানে জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এরপর কম জন্মহারের কারণে গত ১৪ বছর ধরে তা কমেই চলেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post