লক্ষ্মীপুরে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই প্রবাসীর নাম এমরান হোসেন রাকিব। তিনি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের হাজি বাড়ির বাসিন্দা ও আবুধাবি প্রবাসী। নিহত স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা মিতু একই বাড়ির গ্রাম্যচিকিৎসক মাজহারুল হকের মেয়ে। গেলো শনিবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই বাড়ি থেকে মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মিতুর পরিবার জানায়, প্রায় আট বছর আগে রাকিবের সঙ্গে মিতুর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে পাঁচ বছরের একটি মেয়ে এবং চার মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রাকিব দেশে আসার পর প্রায়ই মিতুকে নির্যাতন করতেন। তাকে বাড়ি বের হয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতেন। সন্তানদের সামনেই মিতুকে তিনি মারধর করতেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিতু আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান স্বামীর স্বজনরা। এতে পরিবারের লোকজন এসে গলায় ফাঁস লাগানো মিতুকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে স্বজনরা তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। মিতুর মা মাহমুদা বেগম বুলবুলি সাংবাদিকদের বলেন, রাকিব সন্তানদের সামনেই মিতুকে মারধর করতো। তার নির্যাতনের কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর না হয় আমার মেয়েকে মেরে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে মিতুর স্বামী এমরান হোসেন রাকিব এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হনন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post