বিদেশ যাওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই কিডনি বেচে স্বপ্নের বিদেশ যাওয়ার মতো অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়েছেন পিরোজপুরের সুমিত হাওলাদার। গেলো সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথমবারের মতো কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। সেখানেই ঘটে এই ঘটনা। সেসময় হাসপাতাল থেকে বলা হয়, অপারেশনে পিরোজপুরের সুশেন রায় সুজন রায়কে কিডনি দিবেন। পরে সেই কিডনি স্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
তবে সেই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারের পর নতুন এক গল্প তৈরি হয়। স্বামীকে খবরে দেখে কিডনি দাতার স্ত্রী সীমা জয়ধর হাসপাতালে ছুটে আসেন। জানান, কিডনি দাতার আসল নাম সুমিত হাওলাদার। কিডনি গ্রহীতা সুজনের সাথে মিল রেখে তিনি ওই নাম রেখেছেন।
সীমা বলেন, সুমিত পরিবারকে না জানিয়েই এই কান্ড ঘটিয়েছেন। গ্রিস যাবে তাই পাসপোর্টও রেডি ছিলো। ঘর থেকে ১০ দিনের বিশেষ ট্রেনিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন। অথচ কিডনির বিনিময়ে গ্রিস নিয়ে যাওয়ার চুক্তির কথা গোপন ছিলো। তাকে এভাবে বিদেশ নেয়ার কথা আমরা জানতাম না।
এই ঘটনার বিষয়ে কিডনি দাতা সুমিত গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজী হননি। গ্রহীতা সুজন রায়ের ছেলে এখন সুমিতের সেবা করছে। তিনিও এ ব্যাপারে কথা বলেননি।
সুজনকে সুমিতের কিডনি দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ বেআইনি। আইন বলছে, রক্তের সম্পর্ক ছাড়া কেউ কাওকে কিডনি দিতে পারবেন না।
এই ঘটনা তদন্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি কমিটি গঠন করেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অপারেশনের ধাপগুলো পুরোপুরি আইন মেনেই হয়েছে। অপারেশনের সময়ে যে কাগজাদির প্রয়োজন পড়ে তার সবই বৈধ ছিলো। অপারেশন নিয়ম মোতাবেক হয়েছে।
তারা বলছে, এই ঘটনা তদন্তে হাই পাওয়ার্ড ৪ সদস্যের কমিটি করে দেয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনে রিপোর্ট এসে যাবে। এদিকে এই হাসপাতালে বেশ কয়েকজন এখন কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post