গ্রিসে এক ট্রান্সজেন্ডার নারীকে হত্যার অভিযোগে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে সে দেশের পুলিশ।
গত বুধবার দুপুরে কিউবান ট্রান্সনারী আনা ইভানকোভাকে (৪৬) হত্যার অভিযোগে ওই প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গ্রেপ্তার বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
গ্রিসের স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, ১০ জুলাই রাজধানীর অ্যাজিওস প্যানটেলিমোনাসে এলাকার ফিলিস অ্যান্ড ম্যাগনিসিয়াস স্ট্রিটের নিজ বাসায় খুন হন আনা ইভানকোভা।
প্রাথমিক তদন্তে আনা ইভানকোভার দেহে ১৫টি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, হত্যার দিন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি ইভানকোভার বাসায় গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে তার আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে।
গ্রিক সংবাদমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, ভাড়া আদায়ের জন্য আনা ইভানকোভার অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে বাড়িওয়ালা প্রথমে তাকে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পারেন। তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টের জানালা খোলা পান। নিজের কাছে থাকা চাবি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করার পর তিনি আনা ইভানকোভার মরদেহ দেখতে পান।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অনেক বছর ধরে গ্রিসে আছেন এবং ভালো গ্রিক বলতে পারেন। বাংলাদেশিদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে এবং এথেন্সের কেন্দ্রে প্রবাসীদের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আটক করে।
গ্রিক সংবাদমাধ্যম ভোরিয়ায় প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের পেছনে আর্থিক ও ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্য টকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি ব্যক্তিকে সিসিটিভি ফুটেজে হত্যার দিন সকালে নিহতের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করতে এবং অনেক পরে জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এ সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশি দাবি করেছেন, তিনি নিহত ওই নারীকে চেনেন না। নিজের শরীরে আঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের কয়েকজন তাকে ছিনতাই করার জন্য জিম্মি করে মারধর করেছিল। এ আঘাত পেয়েছেন সেখান থেকেই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post