সম্প্রতি চালু হওয়া অ্যাপ ‘থ্রেডস’ কে দেখা হচ্ছে টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। অল্প সময়েই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে বড় সাড়া ফেলেছে থ্রেডস। চালু হওয়ার মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়নের বেশি সাইন-আপ হওয়ায় এটি দ্রুত-বর্ধনশীল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চ্যাটজিপিটিকেও পেছনে ফেলেছে। জাকারবার্গের কোম্পানি মেটা এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি ছেড়েছে। মি. জাকারবার্গ এই অ্যাপটিকে টুইটারের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী’ হবে বলে বর্ণনা করেছেন।
প্রযুক্তি ধনকুবের ইলন মাস্ক গত বছরের অক্টোবরে টুইটার কিনে নেয়ার পর হতে এটি বেশ কিছু বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব পরিবর্তনের কারণে যেসব টুইটার ব্যবহারকারী অসন্তুষ্ট, নতুন অ্যাপ থ্রেডস তাদের আকৃষ্ট করতে পারে। থ্রেডসের অনেক বৈশিষ্ট্য টুইটারের মতোই। যেমন কোন পোস্ট ৫০০ বর্ণের বেশি হতে পারবে না বলে সীমা বেঁধে দেয়া আছে।
এর আগে মি. জাকারবার্গ বলেছিলেন এই প্লাটফর্মটি সফল হবে কি না সেক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ‘এটিকে বন্ধুত্বপূর্ণ রাখতে পারা।” তবে টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক এর পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, “ইনস্টাগ্রামে কষ্ট গোপন করে মিথ্যে সুখের ছল করার চাইতে বরং টুইটারে অপরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়া অনেক বেশি কাঙ্ক্ষিত।”
মার্ক জাকারবার্গকে প্রশ্ন করা হয়েছিল থ্রেডস টুইটারের চেয়ে বড় হতে পারবে কি না। জবাবে মি. জাকারবার্গ বলেছেন, “এতে সময় লাগবে। কিন্তু আমি মনে করি জনগণের কথাবার্তা বলার জন্য এমন একটি অ্যাপ দরকার, যেখানে একশো কোটির বেশি মানুষ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “টুইটারের এই সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা সেটা পারেনি। আশা করছি আমরা পারবো।”
তবে থ্রেডস যে পরিমাণে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করবে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলো তার সমালোচনা করেছে। অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, থ্রেডস ডাউনলোড করলে এটি ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্য, আর্থিক এবং ব্রাউজিং সংক্রান্ত তথ্যসহ অনেক ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে।
বিশ্বের একশোটির বেশি দেশে এখন থ্রেডস ব্যবহার করা যাবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এখনো এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি। কিভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে সে সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে। থ্রেডস লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post