সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ওমানের শক্তি শিল্পের উন্নতির কথা প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২ সালে ওমান মোট ৩৮০ টি উত্পাদনশীল ক্ষেত্রে বেশ প্রশংসনীয় উন্নতি করেছে। এর মধ্যে ৩২৫টি তেলক্ষেত্র এবং ৫৫টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলো যে কোনো দেশেরই জ্বালানি খাতের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রাখে।
দৈনিক ভিত্তিতে, ওমান গড়ে ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং কনডেনসেট উৎপাদন করেছে, যা একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে তার অবস্থানকে আরও শক্ত করেছে। ওমানের তেল ও গ্যাস সেক্টর ৮৯ শতাংশই ওমানাইজেশন অর্জন করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০২২ সালের জন্য ওমানি অপরিশোধিত তেলের গড় মূল্য ব্যারেল প্রতি প্রায় ৯৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে যা দেশের পেট্রোলিয়াম সম্পদের গুণমান এবং মূল্যকে নিম্নমূখী করে। এই অনুকূল মূল্য নির্ধারণের ফলে ওমান তার তেল রপ্তানি থেকে যথেষ্ট রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হচ্ছে যা তার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
তাছাড়া ওমানের তেল পরিশোধনের ক্ষমতাও লক্ষণীয়। মিনা আল ফাহাল এবং সোহার শোধনাগারগুলি সম্মিলিতভাবে গেল বছর মোট ২২০ মিলিয়ন ব্যারেল পেট্রোলিয়াম পণ্য উত্পাদন করেছিল। এই শোধনাগারগুলি অপরিশোধিত তেলকে বিভিন্ন পরিশোধিত পণ্য যেমন পেট্রল, ডিজেল এবং জেট ফুয়েলে রূপান্তর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রপ্তানির পরিপ্রেক্ষিতে, ওমান বিশ্ব জ্বালানি বাজারে একটি প্রধান খেলোয়াড় হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ২০২২ সালে, ওমান প্রায় ৩১৮ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং কনডেনসেট রপ্তানি করেছে, যা আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণের ক্ষমতা প্রমাণ করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post