পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ওমান। একইসাথে সুইডেনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আহমাদ বিন হামাদ আল খলিল। নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি বলেন, “একটি আহাম্মককে কুরআন পোড়াতে অনুমতি এবং নিরাপত্তা দিয়ে সুইডেন পুরো মুসিলম উম্মাহর সামনে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। অবাক হচ্ছি, কোথায় পৃথিবীর মুসলিমরা? এই জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদ কি তারা করবেনা?”
বৈশ্বিক পর্যায়ে এই অপরাধের প্রতিবাদ করাকে জোর দিয়ে গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, “এই ভয়ঙ্কর অপরাধের বিবেচনায় আমরা অন্তত সুইডেনকে সম্পূর্ণ বয়কট করতে পারি, তাদের সব ধরণের পণ্য বয়কট করতে পারি, মুসলিম ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং দেশ সুইডিশদের সাথে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দিতে পারে। এটুকু পদক্ষেপ এই অপরাধের বিবেচনায় ন্যূনতম”।
এদিকে, কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকায় অবস্থিত সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (২ জুলাই) সকালে সুইডেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
সম্প্রতি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিক্ষোভের সময় পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করার একটি কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুন ঈদুল আজহার দিনে ইরাক থেকে আসা অভিবাসী সলমন মোমিকা মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে কোরআন পোড়ান। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ ঘটনায় এরইমধ্যে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মুসলিম বিশ্ব। সুইডিশ সরকার ও দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিশ্চুপ ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এছাড়া স্টকহোমে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আগামী সপ্তাহে সংস্থাটির সদর দফতর জেদ্দায় এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post