ঘূর্ণিঝড় যেকোনো দেশের জন্যই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত গরমে বাতাস যখন বাষ্প হয়ে যায় তখনই সমুদ্রে ধীরে ধীরে সৃষ্টি হতে থাকে নিম্নচাপ। যা এক সময়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ধেয়ে আসে উপকূলে। এতে প্রকৃতির যেমন ক্ষতি হয় তেমনি ক্ষতি হয় জান মালেরও। আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে তীব্র গতিতে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। আবহাওয়াবিদদের একাংশের ধারণা, ৮ বা ৯ জুন এই সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে। এর গতিবেগ হার মানাতে পারে মাত্র তিন সপ্তাহ আগে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিকেও। আমফান কিংবা ফণীর থেকেও বেশি গতিসম্পন্ন হতে পারে বিপর্যয়।
বুধবার ওমান আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে ওমানের উপকূল থেকে ১হাজার ১শ ৩৩ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে। এটি বর্তমানে মধ্য আরব সাগরের উত্তর দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এটি আসলে কোন দিকে ধেয়ে আসবে তা এখনো পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। আরব সাগরে উৎপন্ন এই সাইক্লোনটির নাম বিপর্যয় রেখেছে বাংলাদেশ। কেবলমাত্র ভারতই নয়, এই সাইক্লোনের গভীর প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানের করাচীতেও। বর্তমানে করাচী থেকে ১৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়।
এর আগে ২০০৭ সালের জুন মাসে ওমানে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় গোনু। ১৯৪৫ সালের পর থেকে আরব উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে মনে করা হয় গোনুকে। সেই সময়ে অনেক মানুষ মারা যায় ওমানে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক বাসস্থান। ভেঙে পড়ে অবকাঠামো। আর তাই, এখন যে কোনো সাইক্লোন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post