চলতি বছর হজ ফ্লাইটের শুরুতেই যাত্রী সংকটে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। হজযাত্রী সংকটের কারণে গত ২১ মে থেকে রোববার পর্যন্ত বাতিল হয়েছে বিমানের ৭টি ফ্লাইট। ফ্লাইটের ঘাটতি পূরণে পাঁচটি বাড়তি ফ্লাইটের অনুমোদনের জন্য গত ৩ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিমান, সৌদিয়া অ্যারাবিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ৫১ হাজার ৫৬৬ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছান।
আশকোনা হজ অফিসের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২২ জুন শেষ হচ্ছে হজ ফ্লাইট। এদিকে এখনও ৭০ হাজার ৯১৮ হজযাত্রী সৌদি যাওয়ার অপেক্ষায়। এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী হজ পালনে সৌদি আরবে যাবেন। তাঁদের মধ্যে ভিসা হয়েছে মোট ৮১ হাজার ৩২৭ জনের। আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, এখনও ভিসার অপেক্ষায় রয়েছেন ৪১ হাজার ১৫৭ জন হজযাত্রী।
আরও পড়ুন- হজ : দ্রুত ভিসা ইস্যু করতে সৌদি দূতাবাসকে তাগিদ মন্ত্রণালয়ের
বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম সমকালকে জানান, ২১ মে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। শুরুতে বিমানের একটি ফ্লাইটে যাননি ১৪৪ হজযাত্রী। সময়মতো ভিসা না হওয়ায় বিমানের ফ্লাইটে যেতে পারেননি তাঁরা। এতে বিমানের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন হজ এজেন্সি মালিক সময়মতো যাত্রী সরবরাহ না করায় বিমানের তালিকা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ঘাটতি রয়েছে ৬ হাজার ২২৮ জন। এসব হজযাত্রী পরিবহনের জন্য বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট (স্লট) বাড়ানোর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post