ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান পারস্য উপসাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য একটি যৌথ নৌবাহিনী গঠন করছে। কাতারি সংবাদ ওয়েবসাইট আল-জাদিদ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে।
আল-জাদিদের মতে, পারস্য উপসাগরে নৌ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চার দেশের মধ্যে এ বিষয়ে কথোপকথন কয়েছে। এতে সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করেছে চীন।
জিসিসি (গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) এর সদস্য ওমানের মধ্যস্ততায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রেখেছে ইরান। একই সংস্থার সদস্য সৌদি আরবও।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে, ৩১মে সংযুক্ত আরব আমিরাত লোহিত সাগর এবং পারস্য উপসাগরে পরিচালিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ মেরিটাইম বাহিনী থেকে তাদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য সংলাপ এবং অন্যান্য কূটনৈতিক উপায় অবলম্বন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে আরও বলা হয়েছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত তার সমস্ত অংশীদারদের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতার চলমান মূল্যায়নের কারণে দুই মাস আগে যৌথ সমুদ্র বাহিনীতে তার অংশগ্রহণ প্রত্যাহার করেছে।
এর আগে গত মার্চ মাসে তেহরান ও রিয়াদের সম্পর্কে টানাপড়েনের অবসান ঘটিয়ে তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ভূমিকা রাখে বেইজিং।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো বেইজিংয়ের মধ্যস্থতা মেনে নিতে যে সম্মতি দিয়েছে তার ফলে প্রমাণিত হয় ওয়াশিংটনের ক্ষয়প্রাপ্ত প্রভাবের বিপরীতে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে।
১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লব হওয়ার পর থেকে তেহরান পারস্য উপসাগর থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এসেছে। ইরান আরও বলেছে, আঞ্চলিক যেকোনো সমস্যার সমাধান আঞ্চলিক দেশগুলোকেই করতে হবে।
শিপিংয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং লোহিত সাগর এবং পারস্য উপসাগরে জলদস্যুতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, যৌথ মেরিটাইম বাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর ছাড়াও ৩৪টি বিভিন্ন দেশের সমন্বয়ে গঠিত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post