প্রথমবারের মতো কুয়েতের সঙ্গে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে জিটুজি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
এ চুক্তির ফলে শিগগিরই দেশটিতে নার্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুয়েতে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন, নতুন করে তৈরি হচ্ছে রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল। এসব কাজে দেশটির শ্রম বাজারে জনশক্তির চাহিদা বেড়েই চলেছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজছে দূতাবাস।
গতবছর থেকে নার্স নিয়োগের মধ্যদিয়ে কুয়েতে দক্ষ জনশক্তির দ্বার খুলেছে। তারা কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বছর যেতে না যেতেই নতুন করে যোগ হয়েছে জিটুজি চুক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান বলেন, কুয়েতের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভবনাময় একটি খাত। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে কুয়েতে আসতে পারবে নার্স ও টেকনেশিয়ান।
দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর ৩১ মে প্রথমবারের মতো কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের জিটুজি চুক্তি সই হলো।
কুয়েতে বর্তমানে দুই লাখ ৬০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস করছেন। তবে অনেকের পেশাগত প্রশিক্ষণ নেই। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শ্রমিকদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে পারলে কুয়েতের বাজার দখল করতে পারবে বাংলাদেশ। আর এতে দেশে বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post