মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটে যাওয়া দেশটিতে এখন আড়াই লাখেরও বেশি বাংলাদেশির বসবাস। তাদের বেশিরভাগই আখুদ আকামাধারী ভিসায় (সরকারি প্রজেক্ট) পাড়ি জমিয়েছেন। প্রবাসে যাওয়ার আগে খুব কম সংখ্যক মানুষ আখুদ ভিসা সম্পর্কে ধারণা রাখেন।
অধিকাংশ ক্লিনার কোম্পানিতে কাজ করেন। যাদের বেতন মাত্র ৭৫ দিনার। বাংলাদেশি অর্থে এই টাকার পরিমাণ মাত্র ২১ হাজার। ক্লিনার ভিসাতে যারা যান তাদের বেশিরভাগই পার্টটাইম কাজ করেন। যারা এই পার্টটাইমের সুযোগ পান না তাদের বছরের পর বছর ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে চলতে হয়। নিজের শখ পূরণ করা তো দূরের কথা পরিবারের চাহিদাও ঠিকমতো পূরণ করতে পারেন না।
কুয়েতে কোম্পানিগুলো নামমাত্র টাকা নিয়ে ভিসা দিলেও সেই ভিসা বাংলাদেশ আসতে আসতে হয়ে যায় ৭ লাখ টাকা। বাকি সব টাকা চলে যায় দালালের পকেটে। অথচ সরকারের এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই। কুয়েতের সরকারিভাবে বাংলাদেশিদের জন্য সব ভিসা বন্ধ। লামানা পদ্ধতি ছাড়া ভিসা বের করা সম্ভব হয় না।
সেখানে বাংলাদেশিদের ভিসা বের করার জন্য মন্ত্রী বরাবর দরখাস্ত করতে হয়। সেটাও আবার অনেক দালালদের মাধ্যমে। এভাবে ভিসার দাম ৭ থেকে ১০ লাখ টাকায় পৌঁছায়। ভিসা পেতেও অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আবার একটা ভিসা বের করতে বছরের পর বছর চলে যায়।
ক্লিনার কোম্পানিগুলোর বেতন কম হওয়ায় বাংলাদেশিরা কুয়েতে প্রায় ৯০ শতাংশ লোক বৈধ আকামা পাসপোর্ট ভিসা থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে পার্টটাইম কাজ করেন, যা স্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন। ৮ ঘণ্টা কোম্পানির অথবা মালিকানায় কাজ করার পর অনেকে কোম্পানির বাইরে বিভিন্ন কাজ করেন, যেমন গাড়ি পরিষ্কার করা, সবজি বিক্রি করা, বিভিন্ন মার্কেটে, অফিসে, দোকানে ফ্যাক্টরিতে কাজ করা, যা দেশটির আইনে সম্পূর্ণ নিষেধ। যেহেতু পার্টটাইম ছাড়া উপায় নেই সেহেতু আইনভঙ্গ করে কাজ করেন অনেকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post