কর ফাঁকির অভিযোগে সৌদি আরবের মক্কায় ইউরো আহসানিয়া কোবা গ্রুপ হজ এজেন্সির মালিক ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজেন্সিটি ১৫ শতাংশ কর ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।সম্প্রতি সৌদির একটি ব্যাংক থেকে এজেন্সির মালিক ২ লাখ রিয়াল উত্তোলন করেন। এরপর পুলিশের জেরার মুখে কর ফাঁকির বিষয়টি ধরা পড়লে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের নাম পরিচয় জানায়নি সৌদি পুলিশ।
এ দিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাওয়া হজযাত্রীদের বিড়ম্বনার অভিযোগে ৮টি হজ এজেন্সিকে শোকজ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।শোকজে বলা হয়, গত ২১ মে ৮টি এজেন্সির হজযাত্রী মক্কায় আসেন। এ সব এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসায় যে হোটেলের ঠিকানা রয়েছে সেই হোটেলে না উঠিয়ে মক্কার বিভিন্ন ফিতরা করা হোটেলে উঠান তাদের। ফলে হাজীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
শোকজ পাওয়া হজ এজেন্সিগুলো হলো- আল কাশেম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, ইউরো বেঙ্গল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম, ইউরোপা ট্রাভেলস, কে আই ট্রাভেলস, এল আর ট্রাভেলস, এন জে ফাউন্ডেশন অ্যান্ড হজ মিশন, শাকের ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, শঞ্জুরি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস।
শোকজে আরও জানানো হয়, মক্কার এ সব হোটেলে হজযাত্রীদের রিসিভ করার জন্য এজেন্সির কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ফলে হজযাত্রীরা তাদের জন্য নির্ধারিত হোটেল খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন। ভিসা অনুসারে হোটেল না হওয়ায় তাদের লাগেজ হোটেলে পৌঁছাতে সমস্যা হয়। পরে হজ মিশনের চেষ্টায় বিষয়টি সমাধান হলেও এটি বির্বতকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১’র ১২ ধারা অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। তাই এই এজিন্সির বিরুদ্ধে কেনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী তিন দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে লিখিত দিতে বলা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post