ওমানে প্রবাসী জনশক্তির হার বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করছেন বাংলাদেশিরা। গত এক মাসে ওমানের শ্রমবাজারে ১০ হাজার বাংলাদেশি প্রবেশ করেছেন। যা গড়ে দৈনিক প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষ নতুন ভিসা নিয়ে ওমান যাচ্ছেন। যদিও ওমানে বর্তমান কাজের বাজার আগের মত নেই। অনেক প্রবাসী কাজ পাচ্ছেন না। মাসের পর মাস বেকার থেকে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন এমন প্রবাসীর সংখ্যাও কম নয় ওমানে।
বর্তমানে ওমানে বাংলাদেশীদের অবস্থান সবার উপরে রয়েছে। এই বছর এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, ওমানে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। যা ওমানে প্রবাসী জনসংখ্যার মধ্যে সর্বোচ্চ। ওমানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন (এনসিএসআই) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলের শেষে মোট প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখে পৌঁছেছে।
এনসিএসআই’র তথ্য অনুযায়ী, ওমানে বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিরাই সবচেয়ে বেশি। ১৭ লাখ ৭৬ হাজার প্রবাসী শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ ৯৭ হাজার প্রবাসী দেশটির বেসরকারি খাতে কর্মরত। এটি অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের গুরুত্বকে তুলে ধরছে।
ওমানে বসবাসকারী বাংলাদেশির সংখ্যা ৬ লাখ ৯৮ হাজার। এই সংখ্যাটি আগের মাসের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ওমানের শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য অবদানকে আরও দৃঢ় করে। বাংলাদেশিদের পরেই রয়েছেন ভারতীয়রা, যারা দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রতিনিধিত্বকারী।
ওমানে ৪ লাখ ৩ হাজার ভারতীয় প্রবাসী কর্মী রয়েছেন, যেখানে পাকিস্তানিরা আছেন ৩ লাখ ৭ হাজার। এই সংখ্যাগুলো দক্ষিণ এশীয় শ্রমিকদের যথেষ্ট উপস্থিতি এবং ওমানের ক্রমবর্ধমান অভিবাসী শ্রমবাজারে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়।
ওমানের শ্রমবাজার বিভিন্ন পরিসরের প্রবাসী কর্মীদের আকৃষ্ট করে চলেছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যে মোট সংখ্যা ১৭ লাখে পৌঁছেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাধান্য ওমানের অর্থনীতিতে অভিবাসী শ্রমিকদের মূল্যবান অবদানকে তুলে ধরে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post