ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দেশে হু হু করছে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। তবে ব্যতিক্রম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। সেখানে যুদ্ধের প্রভাব নিত্যপণ্যে তেমন পড়েনি। তাই সেখানে পণ্যের দাম বৃদ্ধির হার বাংলাদেশ থেকে অনেক কম। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ইউটিলিটি, জ্বালানি, ভাড়া এবং পরিবহন বিলের স্থিতিশীলতার কারণে এপ্রিলে ওমানের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে।
ওমানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন (এনসিএসআই) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওমানের মুদ্রাস্ফীতির হার ১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কমে ১ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে ভোক্তা মূল্যের মূল্যস্ফীতির হার গত ৩৫ বছরে ২ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৪ শতাংশের মধ্যে চলে গেছে।
২০২২ সালের জন্য, ৭ দশমিক ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির হার গণনা করা হয়েছিল। ১৯৮৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ সময়কালে গড় মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল প্রতি বছর সাড়ে ছয় শতাংশ। সামগ্রিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি ছিল প্রায় ৭৯০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার অব্যাহত থাকতে পারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কম। মূল্যস্ফীতি গত ৪ মাস ধরে কমলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর ওপর প্রভাব ফেলছে।
বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস এবং জ্বালানি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম সীমিত করার সরকারি পদক্ষেপের কারণে ওমানের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হওয়ার জন্য প্রধানত এক বছর আগের তুলনায় এপ্রিলে সবজির দাম ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধিতে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে ওমানে। শক্তিশালী মার্কিন ডলারের কারণে ওমানের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি এই বছর আরও কমবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post