পাকিস্তানের ফ্যাশন ডিজাইনার খাদিজা শাহ এখন বেশ আলোচিত একটি নাম। জিন্নাহ হাউসে হামলার অভিযোগে ‘প্রধান সন্দেহভাজন’ এ নারী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর জিও টিভির। খাদিজা সাবেক অর্থমন্ত্রী সালমান শাহের কন্যা। তার দাদা আসিফ জানজুয়া ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান।
তিনি একজন খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার। একইসঙ্গে তিনি পাকিস্তান এবং ব্রিটিশ নাগরিক। গত ৯ মে তিনি লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউস- যা জিন্নাহ হাউস নামে পরিচিত সেখানে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত। এ ঘটনায় পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এ সময় তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
পলাতক অবস্থায় তিনি এক ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, আদালতে তিনি আত্মসমর্পন করবেন। একইসঙ্গে তিনি ব্রিটিশ হাইকমিশনে গিয়ে তার গ্রেফতার আড়ানোর চেষ্টা করেন। এক লিখিত অভিযোগে ব্রিটিশ সরকারকে তিনি জানান, তিনি একজন পিটিআই সমর্থক হওয়ায় পুলিশ তাকে টার্গেট করেছে। তার স্বামীকে সন্তানদের সামনে মারতে মারতে নিয়ে গেছে পুলিশ। আটক অবস্থাতায় তাকে মারধর করছে পুলিশ। এ অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধারের আবেদ জানিয়েছেন খাদিজা।
১৬ মিনিটের বেশি দীর্ঘ অডিও বার্তায় খাদিজা স্বীকার করেছেন যে, তিনি একজন পিটিআই সমর্থক এবং লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউসের বাইরে বিক্ষোভে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সহিংসতায় সম্পৃক্ত থাকা এবং লোকদের প্ররোচিত করাসহ কোনো অন্যায় কাজে তিনি জড়িত ছিলেন না। নিজেকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর একজন ‘সমর্থক’ বলে দাবি করে খাদিজা জানান, পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর পাবলিক ও সামরিক স্থাপনা ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে পুলিশের সোপর্দ করতে যাচ্ছি। আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ, গত পাঁচ দিন আমার জন্য ‘খুব কঠিন’ সময় ছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post