উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের নতুন টার্মিনাল। প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালালকে করা হচ্ছে অত্যাধুনিক। এগিয়ে চলেছে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ। দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হচ্ছে মূল ভবনকে। ভেতরে থাকছে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।
এটি চালু হলে বছরে যাত্রী পারাপারের সক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি ২০ লাখে দাঁড়াবে। অ্যাপ্রন বা পার্কিং এলাকায় একসঙ্গে রাখা যাবে ৩৭টি উড়োজাহাজ। ভেতরে যুক্ত হবে নতুন ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১১টি বডি স্ক্যানার আর ১৬টি লাগেজ বেল্ট। থাকবে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার। নতুন টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত থাকবে মেট্রোরেলও। আর বর্তমান দুই টার্মিনালের সঙ্গে সুড়ঙ্গপথে যুক্ত হবে তৃতীয় টার্মিনালটি ।
এত কিছুর পরও জায়গা কম থাকায় স্বাধীন (ইন্ডিপেন্ডেন্ট) রানওয়ে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুল রহমান। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আইকাওয়ের নিয়ম অনুসারে, উড়োজাহাজ নিরাপদে ওঠানামা করতে দুটি রানওয়ের মধ্যে অন্তত দূরত্ব থাকতে হবে ৭৫০ ফুট, যা নেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বর্তমান পরিসরে।
বছরে দুই কোটি যাত্রীকে সেবা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ হলেও লক্ষ্য পূরণে সিঙ্গেল বা নির্ভরশীল (ডিপেন্ডেন্ট) রানওয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে দুটি স্বাধীন রানওয়ে জরুরি বলে মত তাদের।
তথ্য বলছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে দৈনিক যত সংখ্যক ফ্লাইট পরিচালিত হয়, আগামী দিনে এই সংখ্যা হবে দ্বিগুণ। কিন্তু বর্তমান সিঙ্গেল রানওয়ে দিয়ে তা পরিচালনা অসম্ভব। অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপেন্ডেন্ট বা নির্ভরশীল রানওয়ে তৈরি হলেও ফ্লাইট ওঠানামা বাড়বে মাত্র ২৫ শতাংশ। যাত্রীসেবার পাশাপাশি শঙ্কা দেখা দেবে কার্গো সার্ভিসেও।
এ বিষয়ে অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম জানান, তৃতীয় টার্মিনাল হলে কিছুটা সুবিধা হবে। তবে নির্ভরশীল বা সিঙ্গেল রানওয়ে হলে কাঙিক্ষত সুবিধা মিলবে না। দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষ যাতায়াতের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে না। এ ছাড়া যে ১৫ লাখ টন কার্গো আনার পরিকল্পনা রয়েছে, এতে সার্ভিস দেয়া নিয়ে সক্ষমতা অর্জন সম্ভব হবে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post