হাজিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অসুস্থদের সেবা দিতে এবার হজে দায়িত্ব পালন করবে দুইশ জনের চিকিৎসক দল। এই দলে রয়েছেন ১০২ জন চিকিৎসক, ৬৩ জন নার্স, ২১ জন ফার্মাসিস্ট ও ১৪ জন ওটি এবং ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট।
সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে অসুস্থ বাংলাদেশি হাজিদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য দুই দলে বিভক্ত করে চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেক, ওটি অ্যাসিস্টেন্টের সমন্বয়ে দুইশ সদস্যবিশিষ্ট ‘সমন্বিত হজ চিকিৎসক দল’ গঠন করে সৌদি আরবে প্রেরণে সরকারের সম্মতি জ্ঞাপন করছি। হজ চিকিৎসক দলের সদস্যরা পর্যায়ক্রমে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বিমানের ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে সৌদি আরব গমন করবেন। দায়িত্ব পালন শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দুইশ জনের চিকিৎসক দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হজে সেবা দিতে যাবেন। এদের মধ্যে ১০৯ জনের একটি দল ১৮ মে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে। তাদের মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন ৫২ জন, নার্স ৩৭ জন, ফার্মাসিস্ট ১৩ জন এবং ওটি ও ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট আজন। দলটির সদস্যরা মক্কা ও মদিনায় যাত্রীদের সেবা দেবেন। দলটি ২ জুলাই পর্যন্ত সেখানে দায়িত্ব পালন করবে।
চিকিৎসক দলের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া। উপ-দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন।
এছাড়া বাকি ৯৮ জনের দল আরও দুটি ব্যাচে বিভক্ত হয়ে মে এবং জুন মাসে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের সেবা দিতে যাবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এই চিকিৎসক দল ইকোনমি ক্লাস সিটে সৌদি আরব যাবেন। তবে হজ ও ওমরাহ বিধিমালা অনুযায়ী কেউ দায়িত্ব যথাযথ না পালন করতে পারলে দেশে প্রেরণ করা হবে। সেক্ষেত্রে সদস্যকে নিজের ব্যয় নিজেকে বহন করতে হবে। এই দল কোনোভাবেই তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিতে পারবে না।
মন্ত্রণালয় জানায়, এটি সরকারি ভ্রমণ হিসেবে গণ্য হবে। এসময় সৌদি আরবে অবস্থানকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলের বেতন-ভাতা পাবেন। এছাড়া টিমের সদস্যরা যতদিন সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করুন, ৩৬ দিনের দৈনিক ভাতা পাবেন। সৌদি আরবে অবস্থানকালে দলের সদস্যরা ভ্রমণ ও খাবার খরচ নিজে বহন করবেন। এছাড়া দলের সদস্যদের যাবতীয় ভ্রমণ ব্যয় বাজেট অনুযায়ী বরাদ্দ করা ভ্রমণ ব্যয় থেকে বহন করা হবে। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে অগ্রিম সদস্যদের দেওয়া হবে। পরে চূড়ান্ত বিল পরিশোধকালে তা সমন্বয় করা হবে।
এই চিকিৎসক দল যেকোনো সময় হজযাত্রীদের সেবাদানে বাধ্য থাকবে। এক্ষেত্রে কোনো শিফট প্রযোজ্য নয়। এছাড়া তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মর্মে বিবেচিত হবেন। চিকিৎসক দলের চিকিৎসক সদস্যরা নিজ নিজ পোশাক, বিপি মেশিন, স্টেথোস্কোপ সৌদি আরব গমনকালে অবশ্যই সঙ্গে নেবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post