নেত্রকোনার মদনে নিজ ঘরে টেবিলের ওপর রাখা একটি চিরকুটসহ এরশাদ মিয়া (৩৫) নামের এক প্রবাসীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে পৌরসভার মনোহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করিবেন না। আমার মৃত্যুর জন্য আমি নিজেই দায়ী।’ এরশাদ মিয়া ওই গ্রামের মো. সুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, এরশাদ মিয়া দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় আটপাড়া উপজেলার সুখারী গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম হয়। প্রায় তিন বছর আগে দেশে ফিরে ওই মেয়েকে বিয়েও করেন তিনি।
কয়েক মাস সংসার করার পর এরশাদের যৌন সক্ষমতা নেই উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন তাঁর স্ত্রী। পরে এরশাদ তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন। ওই ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এরশাদ। তা ছাড়া কয়েক দিন ধরে তাঁর চাচার সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ থাকায় স্থানীয়রা দুই দিন আগে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে প্রতিবেশী লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এরশাদ। কিছুক্ষণ পর নিজ ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। সকালের খাওয়াদাওয়া করার জন্য তাঁর মা ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চিৎকার শুরু করেন।
পরে স্থানীয় লোকজন নিজ ঘরেই এরশাদের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে একটি চিরকুটসহ এরশাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। পাশে টেবিলে চিরকুট দেখতে পান এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরী সার্কেল) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চিরকুটসহ এরশাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post