করোনা মহামারীর পর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে হু হু করে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। বাজার পরিস্থিতি হয়েছে লাগামহীন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। এমতাবস্থায় আসলো আরেক দুঃসংবাদ। শীঘ্রই ধেয়ে আসছে বৈশ্বিক মন্দা এমন ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
বিশ্বজুড়ে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। বাজার পরিস্থিতি হয়েছে লাগামহীন। নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। তাতে করে বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি আবার বেড়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনীতিবিদদের নতুন জরিপ বলছে, ২০২৩ সালে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মন্দার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জরিপ করেছে বিশ্ব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান শ্যাশের মতো মিডিয়া জায়ান্ট।
ইউএই-ভিত্তিক সম্পদ উপদেষ্টা সংস্থার বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক ব্রডি ডান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মন্দার বর্তমান ঝুঁকি যেকোনো বিনিয়োগকারীর জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সময়, আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কের মুহূর্তে বিনিয়োগ থেকে অর্থ বের না করার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং সে কারণে তার সরকার ইতোমধ্যেই আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এর আগে গত মাসেই বিশ্বব্যাংকও তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিলো যে বিশ্ব অর্থনীতি ২০২৩ সালের দিকে মন্দার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
মূলত দু বছরের করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরেই বিশ্বে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা, যা মোকাবেলায় দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার হিমশিম খাচ্ছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় পড়লে বাংলাদেশের রপ্তানিতে এর প্রভাব পড়বে। কারণ, তৈরি পোশাকের চাহিদা কমবে। তবে সঠিক ভাবে এগুতে পারলে এখানে কিছুটা ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে। কারণ বাংলাদেশ যেসব পোশাক রপ্তানি করে সেগুলো খুব উচ্চ মূল্যের নয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের বড় অংশ তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকলেও বৈশ্বিক মন্দায় তাতেও প্রভাব পড়তে পারে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের কোম্পানিগুলো পশ্চিমাদের কাছে যে রপ্তানি করে তাতে প্রবৃদ্ধি কম হলে এসব কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা তৈরি হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে খাদ্য পণ্যের দাম। কারণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য পণ্য বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। বৈশ্বিক মন্দা দেখা গিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সেটি প্রভাব ফেলবে। আমদানি করা পণ্যগুলোর দাম বাড়বে। তবে জ্বালানি তেলের দাম বৈশ্বিক মন্দায় কমে আসলে সেটি কিছু স্বস্তিরও কারণ হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post