দ্রুত যাতায়াতের অন্যতম বাহন হলো বিমান। এ যাত্রা যতটা সুবিধাজনক, ততটা বিপজ্জনকও। বিমানে উঠলে কমবেশি প্রায় সবাই মানসিক চাপ অনুভব করেন। কারণ বিমান এমন একটা মাধ্যম দিয়ে যায়, যেখানে কোনো কারণে যান্ত্রিক গোলযোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কারও কিছু করার থাকে না।
অনেকেই জানালার পাশের আসনগুলোতে বসতে চান, আবার অনেকে মাঝামাঝি আসনগুলোতে বসেন। ভ্রমণকারীরা নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী বিমানের আসন নির্ধারণ করেন। জরুরি মুহূর্তের কথা বিবেচনা করে অনেকেই আবার বিমানের সামনের অংশে বসতে চান, যাতে বিপদের সময় দ্রুত বিমান থেকে বের হওয়া যায়।
অনেকেরই ধারণা, বাস বা ট্রেনের মাঝামাঝি বসলে এই ধরনের বিপদেও বোধ হয় প্রাণে বাঁচা যায়। কারণ সামনে বা পেছন বিপদ যে দিক থেকেই আসুক না কেন, মাঝে থাকা যাত্রীদের নাগাল পাওয়া ততটা সহজ নয়! তবে যারা বিপদ এড়াতে বিমানের সামনের অংশে বসতে চান, তারা তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। এ সম্পর্কিত একটি গবেষণায় বিমানের সবচেয়ে নিরাপদ আসনের যে চিত্র বের হয়ে এসেছে, তাতে অনেকেই অবাক হবেন।
বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন বিমান শিল্পে ৩৫ বছরের দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখা গেছে, দুর্ঘটনায় বিমানের পেছনের দিকের মাঝামাঝি আসনগুলোতে বসা যাত্রীদের হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ২৮ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপদ আসনগুলো হচ্ছে বিমানের মাঝ বরাবর আসনগুলো। এই আসনগুলোতে বসা যাত্রীদের হতাহতের পরিমাণ ৪৪ শতাংশ।
বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ বা আগুন লাগার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। বিভিন্ন দুর্ঘটনার সাক্ষী বিমানে ‘ব্ল্যাকবক্স’ থেকে জানা যায় দুর্ঘটনার কারণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, ডানায় আগুন লেগে সেখান থেকে তা গোটা বিমানে ছড়িয়ে পড়ে।
এভিয়েশনের এক অধ্যাপক ডগ ড্রুরির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বিমানে আগুন লাগা বা বিমান ভেঙে পড়ার মতো দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচতে মাঝের আসনটিই সবচেয়ে নিরাপদ। পরিসংখ্যানে এমনটাই দেখা গেছে।
সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্রুরি বলেন, ‘ট্রেন হোক বা বিমান, বেশির ভাগ যাত্রীই জানালার পাশের আসনটিতে বসতেই পছন্দ করেন। কিন্তু সব দিক থেকে নিরাপদ মাঝের আসনটিই। এছাড়া সাধারণত বিমানের ডানায় জ্বালানি ভরা থাকে। তাই তার কাছাকাছি কোনো আসনে না বসাই ভালো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post