রাজধানীর উত্তরায় মোবাইল অ্যাপে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার দায়ে চক্রের মূল হোতাসহ ১৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। মঙ্গলবার (১৬ মে) উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।এটিইউর বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, র্যাপিড ক্যাশ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ঋণ দেওয়ার নামে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিল চক্রটি।
৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে দিনপ্রতি সুদ হিসেবে আদায় করা হতো প্রায় ১০০ টাকা। পুরো ঋণ পরিশোধের পরও পুনরায় গ্রাহককে ঋণ নিতে বাধ্য করা হতো। চক্রটির অভিনব এই প্রতারণার প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ঋণ নেওয়ার জন্য অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর সকল কন্টাক্ট নম্বর, গ্যালারির তথ্য, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়। যেকোনো মোবাইল সিমের নম্বরের মাধ্যমে অ্যাপটিতে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হয়।
রেজিস্ট্রেশনের পর পরই র্যাপিড ক্যাশ ব্যবহারকারীকে ৫০০ বা ১ হাজার টাকার ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। ওই দিন থেকে টাকার ওপর প্রায় ১০০ টাকা হারে সুদ বাড়তে থাকে। ঋণ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই পরিশোধ করতে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেয় চক্রের সদস্যরা।
কোনো গ্রাহক যদি উচ্চ হারের সুদ প্রদানে অস্বীকৃতি জানাতেন তাহলে তাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেলিং শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় তথ্য ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হতো। কোনো গ্রাহক সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের পরও তাদেরকে আবারও ঋণ নিতে বাধ্য করা হতো।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতা মাহেরসহ ১৯ সদস্যকে গ্রেপ্তিার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন তরুণী রয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post