ওমানে অধিকাংশ প্রবাসীর পাসপোর্ট জোরপূর্বক আটকে রাখেন নিয়োগকর্তা। জরুরি প্রয়োজনে দেশে আসতে কিংবা অন্যকোনো কাজে পাসপোর্ট চাইলেও মেলেনা পাসপোর্ট। এক ধরণের জিম্মি করে রাখা হতো প্রবাসীদের। এবার বিদেশি কর্মীদের পাসপোর্ট রাখা নিয়ে সতর্ক করলো ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়।
কর্মচারীদের পাসপোর্ট তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে না রাখার বিষয়ে সতর্ক করে এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি কর্মচারী অনুরোধ করে তবে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট কোম্পানির কাছে গচ্ছিত রাখা যাবে। এর বাহিরে জোর পূর্বক কর্মীর পাসপোর্ট রাখার কোনো এখতিয়ার নেই নিয়োগকর্তার
ওমান সরকারের আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। মন্ত্রণালয় জানায়, পাসপোর্ট অবশ্যই ব্যক্তির কাছে থাকতে হবে। পাসপোর্টটি হারানোর ভয়ে কর্মী চাইলে একজন নিয়োগকর্তার কাছে পাসপোর্ট রাখতে পারেন। কিছু কর্মী ডকুমেন্ট নবায়নের জন্য নিয়োগকর্তার কাছে পাসপোর্ট রাখা নিরাপদ বলে মনে করেন।
সেক্ষেত্রে পাসপোর্টগুলো নিয়োগকর্তার কাছে নিরাপদে রাখা যেতে পারে। তবে, কোনোভাবেই শ্রমিকের অনুমতি ব্যতীত মালিকের পাসপোর্ট রাখার বৈধতা নেই ওমানে। এ ব্যাপারে সতর্ক করে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আইনের অনেক লঙ্ঘন হয়েছে এবং মন্ত্রণালয়কে রিপোর্ট করা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
যেসব মালিক তাদের শ্রমিকদের পাসপোর্ট জব্দ করে রেখেছেন, তাদেরকে দ্রুত কর্মীদের পাসপোর্ট বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে, যেসকল প্রবাসী তাদের পাসপোর্ট মালিক জব্দ করে রেখেছে, তাদেরকে শ্রম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, নিয়োগকারীদের পাসপোর্টগুলো তার বিদেশী কর্মীদের কাছে ফেরত দেওয়া উচিত, কারণ সেগুলো রাখা দেশের শ্রম আইনের পরিপন্থী। একটি পাসপোর্ট একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত নথি যা তার জাতীয়তা প্রমাণ করে এবং এটি তার দখলেই থাকবে।
যেকোনো বিদেশী কর্মীর বৈধ জাতীয়তা নথি রাখা বেআইনি এবং তা নথির মালিককে ফেরত দিতে হবে। ওমানের সালতানাত বেশ কয়েকবার স্পষ্টভাবে বলেছে যে কোনও কোম্পানির নিজস্ব ইচ্ছা ছাড়া কোনও কর্মচারীর পাসপোর্ট রাখার ক্ষমতা নেই। যদি সম্মতি ছাড়াই পাসপোর্টগুলো ধরে রাখা হয়, তাহলে তাদের মালিকরা সেগুলো ফেরত পেতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ জানাতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post