স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে সাদ্দাম হোসেন (২৮) নামে কুয়েত প্রবাসী এক যুবক ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (১৫ মে) বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
মৃত ওই যুবক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম (দক্ষিণ) ইউনিয়নের নরহরিপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক মতে, প্রায় ৮ বছর আগে ঝলম (দক্ষিণ) ইউনিয়নের নরহরিপুর গ্রামের বড় বাড়ির আবদুল হাকিমের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মো. সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আমিন বাড়ির সামছুল হকের মেয়ে নাছিমা বেগমের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন কিছুদিন ভালো কাটলেও পরে নানা অজুহাতে পারিবারিক কলহ শুরু হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই আগের দিন রোববার (১৪ মে) বিকেলে নিজ ঘরে ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এবার রমজানের ঈদের পর প্রবাস থেকে বাড়ি আসেন সাদ্দাম। বাড়ি আসার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। একপর্যায়ে তাদের ঝগড়া-বিবাদ চরম আকার ধারণ করে। ঘটনার দু’দিন আগে শুক্রবার সাদ্দামের স্ত্রী তার সন্তানকে নিয়ে মির্জাপুর বাবার বাড়ি চলে যান।
এদিকে রোববার বিকেলে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে সাদ্দাম তার স্ত্রী নাজমাকে মোবাইলে ভিডিও কল দেন। ওই সময় স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগান সাদ্দাম।
এমতাবস্থায় সাদ্দামের স্ত্রী নাজমা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ফোন করে ঘটনা জানালে তারা ঘরের বন্ধ দরজা ভেঙে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিউল আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post