ওমানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মো. আহাদ (৩৭) নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছিদ্দিক হোসেন (৩২) নামে আরও এক প্রবাসী আহত হয়েছেন। গত ১১ মে স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে ওমানের ইবরি জেলার আল ইকরি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামে। এদের মধ্যে নিহত আহাদ চর ফলকন গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ও আহত ছিদ্দিক হোসেন আবু তাহেরের ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই।
নিহত আহাদের বাবা আব্দুর রশিদ জানান, আহাদ ও ছিদ্দিক ওমানে রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। সকালে রং কেনার জন্য তারা ওমানের আল আকরি থেকে ইবরি শহরে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাফিক সিগন্যালে তাদের সাইকেল চাপা দেয় দ্রুত গতির একটা প্রাইভেটকার। এতে ঘটনাস্থলে আহাদের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন ছিদ্দিক। তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ইবরি হাঁসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। বর্তমানে তার অবস্থাও আশংকাজনক।
গাড়ি চালকদের উদ্দেশ্যে রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) এর একজন কর্মকর্তা বলেন, সবাইকে ওমানের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে গাড়ি চালাতে হবে। ওমানের ট্রাফিক আইন অনুযায়ী কেউ যদি বেপরোয়াভাবে রাস্তায় গাড়ি চালায়, মানুষের জীবন বা সম্পত্তিকে বিপদের মুখে ফেলে বা বিপজ্জনক বা নিষিদ্ধ জায়গায় ওভারটেক করে, তাহলে তাকে ট্রাফিক আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।
আইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন একশো রিয়াল থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ রিয়াল জরিমানা এবং ১০ থেকে দুই মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর তাই, ওমানের সকল নাগরিক ও প্রবাসীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা। প্রবাস টাইমের হাতে আসা দুর্ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাইকেল চালিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন এই দুই বাংলাদেশি। এমতাবস্থায় উপর দিক থেকে দ্রুত গতির একটি প্রাইভেটকার এসে তাদের চাপা দেয়। মরদেহ দ্রুত দেশে আনতে দূতাবাসের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে পরিবার। একইসাথে পরিবারের পক্ষথেকে ক্ষতিপূরণের দাবী জানানো হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post