বিদেশ ভ্রমনে কর বাড়ানো প্রস্তাব করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেটে বাড়তি করের চাহিদা মেটাতে বিদেশগামী যাত্রীদের ওপর ৩০০-৫০০ টাকা বাড়তি কর আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। তবে হজ কিংবা চিকিৎসার জন্য যারা বিদেশ ভ্রমণ করবেন তারা আগের মতোই কর সুবিধা পাচ্ছেন। তাদের ক্ষেত্রে কর লাগছে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জানায়, সাধারণত যাদের অর্থনৈতিকভাবে অধিক স্বচ্ছলতা রয়েছে তারাই বিদেশ ভ্রমণে যায়। বর্তমান অর্থনৈতিক টানাপোড়েনেও যারা বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন, আমরা ধরেই নিতে পারি তারা বেশ ভালো আছেন। যেহেতু আমাদের বাড়তি কর আহরণের চাপ রয়েছে, তাই ধনী শ্রেণির কাছ থেকেই বাড়তি কর আদায়ের চেষ্টা করছি।
এনবিআর সূত্র জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালে ভ্রমণ কর বাড়ানো হয়েছিল। সেই হিসাবে বর্তমানে স্থলপথে বিদেশ ভ্রমণের জন্য ৫০০ টাকা এবং জলপথে ভ্রমণে ৮০০ টাকা কর দিতে হয়। অন্যদিকে আকাশপথে সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণে এক হাজার ২০০ টাকা; উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও তাইওয়ান ভ্রমণে যাত্রীপ্রতি ৪ হাজার টাকা এবং অন্যান্য দেশ ভ্রমণের জন্য ৩ হাজার টাকা করে ভ্রমণ কর দিতে হয়। সাধারণত বিমান টিকেটের সঙ্গে ওই কর আদায় করা হয়।
৫ বছরের বেশি থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য নির্ধারিত হারের অর্ধেক ভ্রমণ কর দিতে হয়। ৫ বছর বা তার কম বয়সী যাত্রী, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, অন্ধ ব্যক্তি, বাংলাদেশি ও বিদেশি কূটনীতিক, তাদের পরিবার, বিমান ক্রু, বিমানকর্মী, হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের ভ্রমণ কর দিতে হয় না।
আসছে বাজেটে স্থলপথে ভ্রমণে ভ্রমণ কর ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা, সার্কভুক্ত দেশের জন্য ৩০০ টাকা বৃদ্ধি করে এক হাজার ৫০০ টাকা, ইউরোপ-আমেরিকা অঞ্চলের জন্য সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং অন্য অঞ্চলের জন্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post