রাজধানীর ডেমরায় প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ডেমরার বাঁশেরপুল এলাকা থেকে সোমবার বিকালে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দীন আহমেদ। গ্রেপ্তার দুজন হলেন– মো. উজ্জ্বল হোসেন (৩৩) ও মো. রাশেদ (৩৭)।
তাদের জ্ঞিাসাবাদের বরাতে মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, ১০ সদস্যের ডাকাত দলের সর্দার উজ্জ্বল হোসেন। তার নেতৃত্বে ঢাকার ডেমরা, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বড় বড় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ চলছিল। লুটপাট, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও মাদক কারবারেও জড়িত দলটি।
গত পাঁচ মাসে তারা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির সাতটি ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান র্যাব কর্মকর্তা আরিফ মহিউদ্দীন। তিনি বলেন, “সম্প্রতি তারা ডেমরার চারতলা একটি বাড়ি টার্গেট করে। বাড়ির মালিক নিলুফা ইয়াসমিনের স্বামী প্রবাসী। তার দুই ছেলেও বিদেশ চলে যাওয়ায় বাসায় তিনি একাই থাকছিলেন।
“উজ্জ্বল ও তার দল এপ্রিল মাস থেকেই সেই বাড়ি টার্গেট করে। এরপর বেশ কয়েকবার বাড়ির ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মেকানিক পরিচয়ে ঢুকে রেকি করেন। সোমবার উজ্জ্বলসহ চারজন বিদেশি অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরঞ্জাম নিয়ে ওই ডাকাতির প্রস্তুতি নেন। স্সেময়ই র্যাব দুজনকে ধরে ফেলে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারা শ্রমিকের আড়ালে ছদ্মবেশে ঘুরে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির খোঁজখবর নিতেন। এরপর নির্দিষ্ট বাড়ি টার্গেট করে সুযোগ বুঝে ডাকাতি করতেন। এর আগে ৮/১০টি বড় ডাকাতির চেষ্টা চালিয়ে তারা ব্যর্থ হন।
গ্রেপ্তারদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে জানিয়ে র্যাব-৩ অধিনায়ক আরিফ বলেন, “উজ্জ্বল মূলত ব্যানার ও বিলবোর্ড তৈরির ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেসের দোকানে কাজ করেন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে মামার স্টিলের আসবাবপত্র তৈরির কারখানায় পাঁচ বছর কাজ করেন।
এরপর সেটি ছেড়ে দিয়ে ছিনতাই, চুরি ও মাদকাসক্তির মত বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন’’ গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, ককটেল, চাকু, রশি ও ব্যাগ জব্দ করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post