নদী, সমুদ্রে বা কোনো জলাশয়ে নয়, এবার মাছ তৈরি হচ্ছে ল্যাবরেটরিতে। নেই কোনো কাটাকুটির ঝামেলা। বিশেষ এক থ্রিডি প্রিন্টারেই বেরিয়ে আসছে সম্পূর্ণ রান্নার উপযোগী মাছ। চাল, ডিম ও মাংসের পর মানুষের মধ্যে এ আলোচনা চলছিল যে কৃত্রিম উপায়ে মাছ উৎপাদন কবে হবে। তবে এবার তা বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। আর এই মাছের স্বাদ-গন্ধ হুবহু আসল মাছের মতোই। বিশ্বে প্রথমবারের মতো এই সাফল্য অর্জন করেছে ইসরাইলের একটি কোম্পানি স্টেক হোল্ডার ফুডস।
ইসরাইলের একটি ল্যাবেই তৈরি হচ্ছে আস্তো খাওয়ার উপযোগী মাছ। আর কৃত্রিম এই মাছ বানানো হচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টারে। যার স্বাদ ও গন্ধ হুবহু আসল মাছের মতোই। এর আগে ইসরাইলের টেক কোম্পানিগুলো ল্যাবে মাংস তৈরি করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ আলোড়ন তুলেছে। তবে এই আলোচনার মধ্যে তারই ধারাবাহিকতায় এবার সেই একেই ল্যাবে থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি মাছ নিয়ে হাজির ইসরাইলের ফুড টেক কোম্পানি স্টেক হোল্ডার ফুডস। যা ইতোমধ্যে আলোড়ন তুলেছে বিশ্বজুড়ে।
কৃত্রিম এই মাছ তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের প্রাণী কোষ, যা বিশেষ পদ্ধতিতে ল্যাবে চাষ করা হয়। ল্যাবে তৈরি হলেও স্বাদ হুবহু আসল মাছের মতোই। এই মাছে নেই কোনো কাঁটা। তাই গলায় আটকানোর ভয়ে যারা মাছ এড়িয়ে চলেন তারাও খেতে পারবেন নিশ্চিন্তে। এর আগে, এই পদ্ধতিতে গরু ও মুরগির মাংস তৈরিতে সফলতায় পাওয়ায় এবার মাছ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের স্টেক হোল্ডার ফুডস সিংগাপুরের উমামি মিটসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে কৃত্রিম এই মাছের উৎপাদনে। আপাতত তৈরি হচ্ছে দুই প্রজাতির মাছ। সামুদ্রিক গ্রুপার ও ইল। শীঘ্রই পাওয়া যাবে আরো তিন ধরনের থ্রিডি ফিস। স্টেকহোল্ডার ফুডসের সিইও এরিক কোফমান বলেন, এই মাছের নাম দেয়া হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টেড ফিস। যখন এটা কেউ খাবেন আসল মাছের সাথে একে আলাদা করতে পারবেন না। এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
বিশ্বজুড়ে ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভেগানিজম। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও প্রকৃতিতে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে খাদ্য, পোশাক—এসবের জন্য প্রাণীর ওপর নির্ভরতা কমাতে আগ্রহী হচ্ছে মানুষ। অন্যদিকে প্রাণীর প্রতি নৃশংসতা কমাতেও প্রাণীজ আমিষ বর্জনে আগ্রহ বাড়ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post