হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা ৫ মামলায় জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তার মধ্যে দুই মামলায় তার জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। রোববার (৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। মামুনুল হকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম বলেন, ৫ মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে আজ দুই মামলায় শুনানি হয়েছে।
আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঢাকার পল্টন থানার এক মামলা ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার এক মামলায় চেম্বার আদালত আজ মামুনুল হকের জামিন বহাল রেখেছেন।
এর আগে গত ৩ মে মামুনুল হকের জামিন বিষয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় করা দুই মামলায় ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে চালানো নাশকতার অভিযোগের তিন মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়। পরে এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও হন মামুনুল হক। একপর্যায়ে ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা।
ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্টে মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা নারী।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post