লরাঁর বিপক্ষে সর্বশেষ লিগ ম্যাচে লিওনেল মেসি ছিলেন ব্যর্থ। পিএসজির ৩-১ গোলে হারের ম্যাচে মেসি গোল পাননি, গোল করাতেও পারেননি। এমন এক ম্যাচের পর পিএসজির সমর্থকেরা দুয়ো দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলোও মেসিকে ছেড়ে কথা বলছে না। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা পেরিসিয়েন মেসির এই পারফরম্যান্সকে রেটিং দিয়েছে মাত্র ৩।
পিএসজির যখন এই অবস্থা, দুয়ো-টুয়ো শুনে নিজেরও মন খারাপ থাকার কথা, এমন অবস্থায় হঠাৎই সপরিবার সৌদি আরবে গেছেন মেসি।
খবরটি শুনে বার্সেলোনার সমর্থকেরা আঁতকেই উঠতে পারেন। ভাবতে পারেন, তাহলে কি?
না, বিষয়টি তেমন কিছু নয়। মেসি এমনিতেই সৌদি আরবের পর্যটনদূত। সেটারই অংশ হিসেবে মেসি এই মরুর দেশে পা রেখেছেন পুরো পরিবার নিয়ে। সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খতিব টুইট করেছেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশির সঙ্গে সৌদি আরবের পর্যটনদূত মেসি আর তাঁর পরিবারকে সৌদি আরবে স্বাগত জানাচ্ছি।
মেসি আর তাঁর পরিবার দ্বিতীয়বারের মতো সৌদি আরবে ছুটি কাটাতে এসেছে। এর আগে ২০২২ সালে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন মেসি।
কয়েক দিন আগেই ইনস্টাগ্রামে সৌদিতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মেসি। সেটা ছিল সৌদি আরবের পর্যটন নিয়ে মেসির প্রচারণারই অংশ। ওপরে নীল আকাশ আর নিচে সবুজ ঘাস, একই সঙ্গে সারিবদ্ধ খেজুরগাছ—এমন একটি ছবি দিয়ে মেসি লিখেছিলেন, ‘কে ভেবেছিল, সৌদি আরব এত সবুজ?
যখনই পারি, আমি দেশটির অপ্রত্যাশিত সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সেখানে যেতে চাই।
এমন একটা সময়ে মেসি সৌদিতে গেলেন, যখন ফুটবল-বিশ্বে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা রকমের কথা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, প্যারিসে আর মন নেই মেসির। পিএসজির সঙ্গে তাঁর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের জুনে।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post