ওমানে কোম্পানির গাফিলতির কারণে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এমনটি অভিযোগ করেছেন উক্ত কোম্পানিতে কর্মরত অন্য শ্রমিকরা। গত ৩০ এপ্রিল দেশটির নাখাল নামক স্থানে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি প্রবাসী মারা যান।
প্রাথমিকভাবে বালু ধ্বসে মৃত্যু হয়েছে এমন তথ্য বলা হলেও তা সঠিক নয়। আর তাই, সঠিক বিষয়টি অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির পরিবহন, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার (২ মে) টাইমস অব ওমানের এক খবরে এমন তথ্য বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পিছনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো গাফিলতি আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে উক্ত কোম্পানির শ্রমিকরা বলছেন, শ্রমিকদের প্রতি কোম্পানির কোনো দায়বদ্ধতা নেই, এমনকি শ্রমিকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হত।
প্রথম দিকে নিহত ৩জনের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি এবং একজন ভারতীয় নাগরিক বলা হলেও স্থানীয় প্রবাসীরা বলছেন নিহত তিন জনই বাংলাদেশি নাগরিক। প্রবাস টাইমের কাছে পাঠানো পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একজনের নাম মুজাহিদ এবং বাকি দুইজনের নাম ফরিদ ও রনি আহমেদ।
এদের মধ্যে ফরিদ ও মুজাহিদের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জ এবং রনি আহমেদের বাড়ি যশোর জেলা চৌগাছা থানার দক্ষিণ সাগর গ্রামে। নিহতরা সবাই আল হাতেম কোম্পানিতে কাজ করতেন।
রনির স্ত্রীর সাথে মুঠোফোনে প্রবাস টাইম থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে ওমান যান তার স্বামী। দুর্ঘটনার দিন সকালেও কাজে যাওয়ার পূর্বে তার সাথে কথা হয়।
এভাবেই অকালে প্রবাসে ঝরে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। অভিযোগ রয়েছে, প্রবাসীদের অস্বাভাবিক মৃত্যু তদন্তে কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের। মৃত্যুর কারণ যাচাই-বাছাই করে দেখা হয় না।
প্রবাসী কর্মীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও নেই কোনো নজরদারি। বছরের পর বছর অস্বাভাবিক মৃত্যু বাড়তে থাকলেও তা প্রতিরোধে সক্রিয় হচ্ছে না দূতাবাস।
এমন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে কোম্পানি গুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা গেলে ক্ষতিপূরণ পাবে ক্ষতিগ্রস্তের পরিবার এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post